মোঃ ফারুক হোসাইন
বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এই সমস্যাটি হঠাৎ করে শুরু হয় ও কয়েক মিনিট যাবৎ থেকে আপনাআপনি সেরে যায়।
ক) অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম।
খ) অনেক উঁচু থেকে নিচের দিকে তাকানো।
গ) বিভিন্ন ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ঘ) হঠাৎ বসা অবস্থান থেকে ওঠে দাঁড়ানো নানান কারণে এমনটা ঘটতে পারে।
তাছাড়া এটি বেশ কিছু রোগের কারণে হয়ে থাকে। হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার নেমে যাওয়া (স্বাভাবিকের চেয়ে) আরেকটি প্রধান কারণ হতে পারে। নিম্ন ব্লাড সুগার লেভেলের কারণে মাথা ঘোরানি ঘটতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
আরো কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হল
মস্তিষ্কে টিউমার,ব্রেইন স্ট্রোক, ল্যাবেরিন্থাইটিস,মধ্যকর্ণের কিছু অসুখ, চোখের কিছু সমস্যা, মাথায় বা ঘাড়ে বা কানে আঘাত, মাইগ্রেন ইত্যাদি।
মাথার ঝিনঝিনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
নিম্নোক্ত লক্ষণাদি কারো মধ্যে থাকলে বা প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে-
১। মাথায় তীব্র ব্যথা।
২। মাথা ঘোরানি বা ঝিনঝিন না সারা।
৩। ব্যথা বা ঘোরানি তীব্র ও দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হওয়া।
৪। কানে শোঁ শোঁ শব্দ।
৫। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৬। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া।
৭। মাথাঘোরানি পুর্বের চেয়ে ভিন্ন হওয়া।
মাথার ঝিনঝিনের যেসব বিষয়ের প্রতি নজর দিবেন
১। পানিশূন্যতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পান করবেন।
২। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, ফলমূল ও ফাইবারজাতীয় খাবার রাখুন।
৩। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করুন।
৪। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।
৫। বিছানা বা বসা থেকে হঠাৎ ওঠে দাঁড়াবেন না।
৬। অ্যালকোহল পান করা বর্জন করুন।
৭। অন্য সকল নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।
৮। কোথাও ঘুরতে গেলে প্রতিরোধক ওষধ সেবন করুন।
৯। ধূমপান ত্যাগ করুন।
১০। প্রতিদিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
১১। অধিক শারীরিক পরিশ্রম করবেন না।
১২। কাজের মাঝে বিশ্রাম নিন।
১৩। বদ্ধ ঘরে না থেকে উন্মুক্ত জায়গায় জোরে জোরে শ্বাস নিন।
১৪। যে সকল ঔষধ মাথা ঘোরানি সৃষ্টি করে সেই ব্যাপারে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
১৫। শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন।