একদম সহজ ভাষায় বললে বলা যায় iOS (iPhone OS) এবং Android দুইটি ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম। স্মার্টফোন, ট্যাবে এই অপারেটিং সিস্টেম দুটি ব্যবহার করা হয়। আইওএস অ্যাপল এর তৈরি এবং আন্ড্রয়েড গুগোল এর তৈরি।
এখানে উল্লেখ্য যে আইওএস শুধু আইফোনে ব্যবহার করা হয় এবং আইফোনের জন্যেই তৈরি করা। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যেকোনো ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের হার্ডওয়্যারে এটি সরাসরি বা নিজেদের মত কাস্টোমাইজ করে ব্যবহার করতে পারে।
আই ফোন অ্যাপল নির্মাণ করে থাকে আর এর অপারেটিং সিস্টেম আইওএস আর এন্ডোয়েড ফোন গুলা বিভিন্ন কম্পানি তৌরি করে থাকে আর এর অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেল উপ্র ভিত্তি করে তৈরি এন্ডেড থাকে।
আইফোনে আছে যা অন্য স্মার্টফোনে নেই-
নতুন প্রজন্মের আইফোনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্সকে সবেচয়ে সেরা স্মার্টফোন বলে দাবি করেছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। নতুন আইফোনে যুক্ত হয়েছে অনেক নতুন ফিচার।
এই ফোনের নকশা গত বছরে বাজারে আনা আইফোন এক্সের মতো। তবে এতে বিভিন্ন ফিচারের কারণে দামে পার্থক্য এসেছে। নতুন আইফোনে সবচেয়ে বড় উন্নতি বলতে এর এ১২ বায়োনিক প্রসেসর। এটি আগের প্রসেসর এ১১-এর চেয়ে ১৫ শতাংশ দ্রুতগতির। এসব ফিচার আইফোনের সবচেয়ে বড় সংস্করণ সাড়ে ছয় ইঞ্চি মাপের এক্সএস ম্যাক্সে পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, অ্যাপলের ১২ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে পোর্টেট মোডে ছবি তোলার পর এর ডেপথ অব ফিল্ড সমন্বয় করার সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। অ্যাপল দাবি করে, অন্য কোনো ক্যামেরায় এটা করা যায় না। তবে এটি ঠিক নয়। দীর্ঘদিন ধরেই হুয়াওয়ে ও নকিয়ার তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই সুবিধা আছে। রিফোকাস করার ওই প্রযুক্তি ২০১২ সালে লাইট্রো ক্যামেরায় প্রথম দেখা যায়।
আইফোন এক্সএস ও এক্সএস ম‍্যাক্সের ডিভাইসের ডিসপ্লে সাইজ যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮ ও ৬ দশমিক ৫ ইঞ্চি। ৪৫৮ পিপিআই ও এলইডি এইচডিআর ডিসপ্লে রয়েছে এতে।
আইফোন এক্সএস ও এক্সএস ম্যাক্সে স্টেইনলেস স্টিল বডি থাকলেও আইফোন এক্সআরে থাকবে অ্যালুমিনিয়ামের বডি।
এক্সএস ও এক্সএস ম্যাক্সে থাকবে সিঙ্গেল রিয়েল ক্যামেরা সিস্টেম। এই ক্যামেরায় থাকবে একটি ১২ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর। ফোনের সামনে থাকবে একটি ট্রু ডেপথ ফ্রন্ট ক্যামেরা। এর সঙ্গে থাকবে একাধিক ফেস আনলক সেন্সর।
তিনটি নতুন আইফোনের ডিসপ্লের ওপরে থাকবে কালো নচ। এই নচের নিচে থাকবে ফ্রন্ট ক্যামেরা ও একাধিক সেন্সর। আইফোন এক্সের তুলনায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত চার্জ বেশি থাকবে। এটি আইপি-৬৮ রেটিংয়ের; অর্থাৎ এটি ধুলা ও পানিরোধী।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন আইফোন চলবে আইওএস ১২ অপারেটিং সিস্টেমে। ২০১৭ সালের আইফোন এক্সের মতোই ৫ দশমিক ৮ ইঞ্চি মাপের এক্সএস মডেলে ওএলইডি সুপার রেটিনা ডিসপ্লে থাকছে। ম্যাক্সের ক্ষেত্রেও সাড়ে ৬ ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লে থাকছে।
অ্যাপলের দাবি, তাই সব সময় সঠিক না-ও হতে পারে। তবে কারিগরি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে তুলনা করলে নতুন আইফোনের সঙ্গে এর পার্থক্য ধরা পড়ে।