মানুষের ঠান্ডা লাগার কারন হচ্ছে মানুষের নাক, গলা, ফুসফুস ইত্যাদি অঙ্গে কিছু অতিক্ষুদ্র ভাইরাসের সংক্রমন বা ইনফেকশন।
প্রায় ২০০ টি ভাইরাস রয়েছে যাদের আক্রমনে আমাদের ঠান্ডা লাগতে পারে। যেমন করোনা-ভাইরাস, রেসপাইরেটরি সিনশিয়াল ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনোভাইরাস ইত্যাদি।
এর মধ্যে সবথেকে বেশি এবং সবথেকে দ্রুত ছড়ায় রাইনোভাইরাস নামক একটি অনুজীব। প্রায় ৫০ শতাংশ ঠান্ডাই লাগে এই রাইনোভাইরাসের সংক্রমনে।
.
.
রাতে গোসলের সঙ্গে ঠান্ডা লাগার সম্পর্ক কি?
.
উপরে উল্লিখিত অতিসূক্ষ্ম রাইনোভাইরাস বিভিন্নভাবে আমাদের সংস্পর্শে আসতে পারে। যেমন সংক্রমিত কোন ব্যক্তির হাঁচি থেকে বাতাসের মাধ্যমে আমাদের নাকে প্রবেশ করতে পারে, টাকা-পয়শার মাধ্যমেও আসতে পারে, অথবা বাইরের যে কোন বস্তু স্পর্শের (বাসের রড, সিট, খাবার হোটেলের গ্লাস, প্লেট) মাধ্যমে আসতে পারে।
সাধারণত এই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে তাৎক্ষনিকভাবে আমাদের ঠান্ডা লাগেনা। কেননা প্রথম অবস্থায় এই ভাইরাসের সংখ্যা খুবই কম থাকে যা আমাদের দেহে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারেনা। কিন্তু ৯৭ফারেনহাইটের কম তাপমাত্রা এই ভাইরাসের জন্য উত্তম চারণক্ষেত্র! এই তাপমাত্রা পেলে রাইনোভাইরাস হু হু করে বংশবিস্তার করে ফেলে!
.
.
মেইন থিম
.
আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৯ফারেনহাইট। যখন আমরা দিনের বেলা গোসল করি তখন সূর্যের আলো থাকায় শরীরের তাপমাত্রা গোসলের সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু রাতের বেলা সূর্যের তাপ না থাকায় অর্থাৎ আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকায় গোসলের সময় যদি কোনভাবে দেহের তাপমাত্রা ৯৮ ফারেনহাইটের থেকে কমে যায় আর ওই মূহুর্তে যদি তোমার শরীরে রাইনোভাইরাস থেকে থাকে, তোমারও ঠান্ডা লেগে যাবে।
শুধু রাতের বেলা নয়, দিনের বেলা, বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে ভিজলে (বৃষ্টির পানি এমনিতেই ৮০ ফারেনহাইট), গ্রীষ্মকালে প্রচুর ঘামলে, অনেকক্ষন পানিতে নেমে মাছ ধরতে গেলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে। এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
.
.
অবশেষে সিদ্ধান্ত
.
ঠান্ডা লাগার সঙ্গে গোসলের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। ঠান্ডা লাগাতে হলে তোমার দুটো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, প্রথমত রাইনোভাইরাস কিংবা সমজাতীয় কোন ভাইরাস দেহে বিদ্যমান থাকতে হবে, দ্বিতীয়ত, দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে ৯৮ ফারেনহাইটের নিচে নামাতে হবে। সে তুমি যেভাবে খুশি নামাতে পারো।
© Sahadat Sayem