ইতিহাস থেকে জানা যায়, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিসরীয়রা মমি তৈরি করার জন্য মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করতো। তবে তারা সেসব পোস্টমর্টেম করতো মূলত ধর্মীয় বিবেচনায় ও পদ্ধতিতে। অর্থাৎ আমরা এখন সেসকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পোস্টমর্টেম করতে দেখে থাকি তা থেকে মিসরীয়দের পোস্টমর্টেম ছিল কিছুটা ভিন্নতর ।মূলত মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পোস্টমর্টেম করার কথা জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্রিসে। রোমান সাম্রাজ্যে এটি চালু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০ অব্দে। ঐতিহাসিকদের সূত্রানুসারে, জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার অফিসিয়াল পোস্টমর্টেম হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ অব্দে। এছাড়া প্রাচীনকালে আরবদের মধ্যে আন নাফিসের মৃতদেহের পোস্টমর্টেমের কথাও জানা যায়।
আধুনিক পোস্টমর্টেম ব্যবস্থা চালু করেন ইভোননি মরগাগনি, যাকে পোস্টমর্টেম ব্যবস্থার জনক বলা হয়।। পোস্টমর্টেম ব্যবস্থার উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু বইয়ের নামও জানা যায়, যা ছিল প্রাচীন যুগে রচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০-৩৬৫ গ্রিসের হিপোক্রেট, ১১৭-১৩৮ খ্রিস্টাব্দে মিসরীয় চিকিৎসক হেব্রিয়ন, ১২০০-১২৫০ খ্রিস্টাব্দে চীন এবং ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে ইতালির চিকিৎসক ফরচ্যুনিতো ফেদেলে পোস্টমর্টেমের উপর বই রচনা করেছিলেন।
Source: Wikipedia