ইগো নিয়ন্ত্রনের উপায় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
1,419 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (1,510 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (8,070 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

Bahar uddin Sakib:                                                                                                                                                                       ইগো বিষয়টা আমাদের সম্পর্কের জন্য বিষফোঁড়ার মত। শরীরে কোথাও একটা বিষফোঁড়া হলে প্রথম প্রথম কম ব্যাথা হয়। কিন্তু ক্রমে ক্রমে দেখা যায় এ ব্যাথা প্রকট হতে হতে একসময় শরীরের ঐ অংশটাকেই ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তেমনি সম্পর্কে ইগো নামক এই বিষফোঁড়াও প্রকট হতে হতে সম্পর্কটাকেই ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। তাই আসুন জেনে নিই কিভাবে এই ইগো নামক বিষফোঁড়া থেকে নিজে বাঁচবেন এবং সম্পর্ককে বাঁচাবেনঃ ১. আপনার প্রিয় মানুষটিকে শ্রদ্ধা করুন। ২. বিনয়ী হতে শিখুন। ৩. নিজের মধ্যে উদার মনোভাব জাগ্রত করুন। ৪. নিজেকে সহজ,সরল ও সাধারণ ভাবুন। ৫.সর্বোপরি মৃত্যুকে ভয় করুন।

+7 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
==== অ হং কা র====

সংকলনঃ Br Rahul Hossain (Rohol Amin)
আপনার ইগো আপনার সফলতার জন্য  সবচেয়ে বড়ো শত্রু !

“ইগো” শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। শব্দটি মূলত ইংরেজী হলেও বাংলায় মোটামুটি প্রচলিত হয়ে গেছে। কেউ যদি জীবনের যে কোন কাজে কারও তুলনায় এগিয়ে যায়,  সেটা হতে পারে ক্লাসে প্রথম হওয়া; হতে পারে ব্যবসায় বা চাকরীতে তুলনামূলক বেশি সফলতা পাওয়া। এসব ব্যাপারে যদি কারও মনে বিন্দুমাত্র হিংসা জন্ম নেয় তাহলে সাধারন ভাবে ধরে নেয়া হয় তার “ইগো প্রবলেম আছে।”

তবে এই সমস্যাকে ইগো’র চেয়ে ঈর্ষা বা হিংসা বলা ভাল। ঈর্ষা ইগোর ফলাফলের  একটি অংশ হলেও ইগোর ব্যপ্তি আরও বড়। "এটা আপনার সম্ভাবনাময় জীবন ও ক্যারিয়ারকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে"।
তাই ইগো কি, তা ভাল করে জানা, আর তা থেকে বের হয়ে আসাটা ব্যক্তিগত এবং পেশাগ এবং পরকালীন জীবনের জন্য খুবই জরুরী।
 ইগোর সংজ্ঞা  :-
"ইগোর"অনেকগুলো প্রচলিত সংজ্ঞা আছে, বিশেষজ্ঞ রায়ান হলিডের মতে:-  ইগো হচ্ছে “নিজের বড়ত্বের প্রতি একটি অস্বাভাবিক বিশ্বাস। যার সাথে মিশে থাকে অতি অহঙ্কার এবং আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর উচ্চাকাঙ্খা।”

আমরা সবাই জানি ইগো একটি খারাপ জিনিস, এবং এটা আমাদের সবার মাঝেই কিছু না কিছু মাত্রায় আছে। আর সেজন্যই এটা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও আমাদের। ইগো কিভাবে আপনার সফলতায় বাধা দিতে পারে তার কিছু নমুনা।  

ইগো আপনার বড়ো শত্রু !!
১) নিজের প্রতি অস্বাভাবিক ও অবাস্তব উঁচু ধারনা একজন মানুষের সাফল্যের যাত্রাকে পুরোপুরি থামিয়ে দিতে পারে। ইগো আসলে মানুষের মাঝে বাস করা ছোট্ট শয়তানের মত যে একজন মানুষ আসলে যতটা বড়, তাকে তারচেয়েও অনেক বড় হিসেবে ভাবতে শেখায়। তার ফলস্রুতিতে মানুষ তার শ্রম কমিয়ে দেয়।

২) যার মাঝে ইগো আছে, সে সত্যিকার বড় হওয়ার আগেই নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে। তার এই ভাবনা তাকে সত্যিকার বড় হওয়ার পথে এগুতে বাধা দেয়।
কারনটা খুব স্বাভাবিক, আপনি যদি আগেই ভেবে বসে থাকেন আপনি ইতোমধ্যেই অনেক বড় কিছু করে ফেলেছেন, তবে আর সত্যিকার বড় কিছু করার জন্য কষ্ট করার দরকার মনে করবেন না।

৩) ইগো আমাদের সাথে এই খেলাটাই খেলে। ইগো সম্পন্ন মানুষ তার মিথ্যা অহঙ্কার নিয়ে বসে থাকে, আর অন্যরা তাকে টপকে সত্যিকারের বড় হয়ে ওঠে।

৪) আবার অনেক মানুষ কিছুটা সফলতা পেয়েই নিজেকে অনেক বড় ভাবতে শুরু করে। তারা মনে করে তাদের আর প্রমান করার কিছু নেই।

এই কারনে তারা সামনে চলা আর পরিশ্রম করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারা বুঝতেও পারে না যে এই ভুল ধারনাটি না থাকলে তারা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত ইনশাআল্লাহ । অথবা বুঝলেও সেই সর্বনাশা ইগোর কারনে স্বীকার করতে চায় না।

৫) একজন মানুষের মধ্যে যে প্রবল ইগো সমস্যা আছে তার একটি প্রধান লক্ষণ তারা ভুল করেও ভুল স্বীকার করতে চায় না। অনেক সময়ে ভুল বুঝতে পারলেও তারা তা স্বীকার করে না। সেই অস্বীকার যেমন অন্যদের কাছে করে, তেমনি তাদের নিজেদের কাছেও করে। আর ভুল স্বীকার না করলে সেই ভুল শোধরানোও অসম্ভব। একজন ইগো সম্পন্ন মানুষের যদি ইংরেজী গ্রামারে সমস্যা থাকে, এবং আপনি যদি তাকে সেটা ধরিয়ে দিতে যান, তাহলে সে আপনারই ওপর রাগ করবে। পরীক্ষায় নম্বর কম পেলে সেটা হবে শিক্ষকের দোষ, কিন্তু নিজে নিজের জ্ঞান বাড়ানোর কোনও চেষ্টা সে করবে না।

মনে রাখবেন :-
“পৃথিবীর যাবতীয় বিবাদ, যুদ্ধ আর ব্যর্থতার জন্য যদি মাত্র একটি জিনিসকে দায়ী করা হয় – তা হবে মানুষের ইগো”

আপনার কি ইগো আছে বুঝবেন কিভাবে?
“কেউ আপনার  ভুল ধরিয়ে দিলে যদি আপনি  অপমান বোধ কর, তবে মনে রেখে আপনার  মাঝে ইগো ভাইরাস আক্রমণ করেছে ”

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, أصُوْلُ الْخَطَايَا كُلِّهَا ثَلاَثَةٌ: الْكِبْرُ وَهُوَ الَّذِيْ أصَارَ إِبْلِيسَ إِلَى مَا أصاره، والْحِرْصُ وَهُوَ الَّذِي أخرج آدم من الْجنَّة، والْحَسَدُ وَهُوَ الَّذِي جرأ أحد بني آدم على أَخِيه، فَمن وقِي شَرَّ هَذِه الثَّلاَثَة فقد وقى الشَّرَّ كله- فالكفر من الْكبر والمعاصي من الْحِرْص وَالْبَغي وَالظُّلم من الْحَسَد- সমস্ত পাপের উৎস হ’ল তিনটি : (১) অহংকার/ ইগো যা ইবলীসের পতন ঘটিয়েছিল। (২) লোভ, যা জান্নাত থেকে আদম-কে বের করে দিয়েছিল। (৩) হিংসা, যা আদম (আঃ)-এর এক সন্তানের বিরুদ্ধে অপর সন্তানকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিল। যে ব্যক্তি উক্ত তিনটি বস্ত্তর অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে পারবে সে যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। কেননা কুফরীর মূল উৎস হ’ল ‘ইগো অহংকার’। পাপকর্মের উৎস হ’ল ‘লোভ’। আর বিদ্রোহ ও সীমালংঘনের উৎস হ’ল ‘হিংসা’। (. ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ  ৫৮ পৃঃ।)

অহংকার ও ইগো  দু’টিই বড়াই ও বড়ত্বের একক উৎস থেকে উৎসারিত। বস্ত্ততঃ এই রোগে যে আক্রান্ত হয়, সে নিজেকে নিজে ধ্বংস করে। তার দ্বারা সমাজ, সংগঠন, রাষ্ট্র এমনকি নিজ পরিবারও ধ্বংস হয়।

অহংকারের নিদর্শন সমূহ

(১) দম্ভভরে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা : এটাই হ’ল প্রধান নিদর্শন। যা উপরের হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।

(২) নিজেকে সর্বদা অন্যের চাইতে বড় মনে করা : যেমন ইবলীস আদমের চাইতে নিজেকে বড় মনে করেছিল এবং আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল। সে যুক্তি দিয়েছিল, خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ ‘আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আদমকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে (আ‘রাফ ৭/১২)।

অতএব أَأَسْجُدُ لِمَنْ خَلَقْتَ طِينًا ‘আমি কি তাকে সিজদা করব, যাকে আপনি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন? (ইসরা ১৭/৬১)

এই যুক্তি ও অবাধ্যতার শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ তাকে বলেন, فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ ‘বের হয়ে যাও এখান থেকে। কেননা তুমি অভিশপ্ত’ (ছোয়াদ ৩৮/৭৬)।

ইগো থেকে বাচার উপায় :-
পরের পোষ্টে লিখবো ইনশাআল্লাহ
সংকলন :- ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন)
করেছেন (1,510 পয়েন্ট)
সুন্দর লিখেছেন তবে সূরাটির অর্থ বুঝলাম না ৷

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 405 বার দেখা হয়েছে
13 মার্চ 2023 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anirban (140 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 448 বার দেখা হয়েছে
10 ডিসেম্বর 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Jihadul Amin (6,150 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,792 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  4. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  5. CathleenSalo

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...