পেট কমানোর সর্বোত্তম উপায় কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+16 টি ভোট
5,104 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (65,620 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+8 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
১. প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

২. সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।

৩. চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।

৪. উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে। যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

৫. পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।

৬. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।

৭. যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।

৮. প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।

৯. ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।

সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।
+4 টি ভোট
করেছেন (1,910 পয়েন্ট)
দৌড়ানো বা হাটা
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
+1
বিস্তারিত তথ্য দেয়া উচিত
+1 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হলে সহজে মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।মেদ কমানোর সর্বোত্তম উপায় হলো নিয়মিত অনুশীলন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের বিকল্প নেই।

সাধারণত মদ্যপান, মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের
মাধ্যমে আমরা শরীরের বাড়তি মেদ জমা বা ভুঁড়ি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি। পেটের মেদ বা ভুঁড়ি থেকে বাঁচতে যা করা যায়-

১. খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন- লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূল।

২. গ্রিন-টি পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে নিন গ্রিন-টিতে।

৩. আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। তাই এসব খাবার পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।

৪. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খান। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করে। পেটে মেদ জমতে দেয় না।

৫. সকাল শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।

৬. অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।

৭. যাদের সারা দিন টেবিল/চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।

৮. একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। ২৪ ঘণ্টার খাবারকে ৫-৬ বারে গ্রহণ করুন। সেখানে তিনবার প্রধান খাবার ও দুই-তিনবার নাস্তাজাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

​​
0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
পেট কমানো খুব একটা কষ্টের কাজ নয়। একটু ধৈর্য থাকলেই পেট কমানো সম্ভব ।যেহেতু অনেক দিনের ব্যবধানে আমাদের পেটে চর্বি বা মেদ জমে থাকে। সাধারণত যারা যুবক-যুবতী যদি ওজন কমাতে চায় তাহলে ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো টাই উত্তম। আমি এখানে যুবক যুবতীদের জন্য এবং গৃহিণী বা চাকরিজীবী লোক এর জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম দেবো

যুবক যুবতীদের জন্য

সকালবেলা নিয়মিত হাঁটা ,খাবারের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া যতটা পারা যায় আমিষ জাতীয় খাবার খেয়ে থাকা। কিন্তু না খেয়ে থাকা যাবেনা ।বিভিন্ন শাক সবজি খাওয়া। আপনার পছন্দের সবজি খেতে পারেন ডিম খেতে পারেন চাইলে কুসুম ছাড়াও খেতে পারেন।

কয়েকটি পেটের ব্যায়াম দেওয়া যেমন :

Side bend(15×4)

crunches(12×4)

leg raises(12×4)

russian twist(12×4)

plank (30+30+30) sec

উপরোক্ত ব্যায়াম সামর্থ্য অনুযায়ী করতে পারলে এবং একটি খাদ্যভ্যাসে যেতে পারলে আপনার পেট নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ধীরে ধীরে ব্যায়ামগুলো করুন এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন যখন আপনি ফল দেখছেন ,তখন একটি পরিমাণ মাফিক খাদ্য খেয়ে সেটিতে অভ্যাস করুন ।তাহলে আপনি যতই খাবেন আপনার পেট আগের মত আর হবে না। যদি আপনি খাদ্য অভ্যাস একটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন । প্রথম দিকে একটু কষ্টট হবে ।সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর  আপনার মনে হয় আর কোন কষ্ট হচ্ছে না। আপনি আপনার শরীরের অবস্থা দেখে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করবেন ,যাতে আবার বেশি দুর্বল না যান।

গৃহিণী বা চাকরিজীবী লোকের জন্য

পারলে উপরোক্ত ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে খাদ্যে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দিবেন বা শর্করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাই উত্তম। চিনি ছাড়া চা খাওয়ার চেষ্টা, কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।সকাল এবং বিকেল হাঁটাহাঁটি করতে হবে। লিফট ব্যবহার বন্ধ করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। চাইলে আমিষ জাতীয় খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারেন বা ওয়াটার ফাস্টিং করতে পারেন।যদি আপনি নিজে ঘরের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য উত্তম আর না করে থাকলে ঘরের কাজ করতে পারেন বা সেই সময়ে হাটাহাটি করতে পারেন অবসর সময় বেশি বসে থাকবেন না নিজের শরীরকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। ক্ষুধা লাগলে শসা,চিনি ছাড়া লাল চা বা কলাা খেতে  পারেন।

যেসব খাবার খেতে পারেন বেশি পরিমাণ

বাদাম ,কাজু বাদাম, শসা ,সবুজ শাকসবজি ,ডিম ,বড় মাছের পিস, বড় মাংসের পিস ,লাল আটার রুটি ইত্যাদ

চার পাঁচ বেলা খাবার খান সমস্যা নেই ।কিন্তু প্রোটিন খেলে পরিমাণে বেশি খেলে সমস্যা নেই।যদি শর্করা যোগ করেন তা অল্প আহার করাই ভালো।
卐ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন শুধুমাত্র তরকারি এবং আমিষের উপর নির্ভর করুন, এগুলো থেকেও শক্তি পাওয়া যায় 卐

পরিবর্তন যা করা দরকার

খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে নিদ্রায় যাওয়া যাবে না ।খুব বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না ।আপনি যে পরিমাণ খাচ্ছেন সেই পরিমাণ পরিশ্রম করুন।

সম্পূর্ণটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার ধৈর্যটা এবং আপনার চেষ্টা। যতটুক ইনপুট দিবেন ততটুক আউটপুট পাবেন ।ধৈর্য এখানে মূল চাবিকাঠি এবং আপনার চেষ্টা। পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 455 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 904 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 352 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 968 বার দেখা হয়েছে
17 ডিসেম্বর 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Athaher Sayem (1,750 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,565 জন সদস্য

63 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 62 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. GusBeattie37

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...