শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে সঠিক ডায়েট প্ল্যান গ্রহণ করতে হবে।
নেকে কিটো ডায়েট করেন। কেউ আবার স্বাস্থ্যকম খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। অনেকে খাবার কম খেয়ে ব্যায়াম করে শরীরের মেদ কমান। তবে এমন উপায়ও রয়েছে, যাতে আপনি কম ডায়েট করে এবং পুরোদমে খাবার খেয়েও ওজন কমাতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর জন্য শুধু কম খেলে কিংবা সারাদিন শরীরচর্চা করলেই হবে না। ওজন কমানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা খুবই জরুরি। যা ধৈর্য ধরে মেনে চললে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা দ্রুত ওজন কমানোর কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানান, দ্রুত ওজন কমানোর জন্য সবার আগে খাবারের তালিকা থেকে চিনি বাদ দেওয়ার দরকার। চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যও সঠিক থাকে এবং ওজনও কমে।
ঠান্ডা পানির পরিবর্তে তালিকায় হালকা গরম পানি রাখা দরকার। গরম পানি শরীরে জমে থাকা মেদ গলিয়ে দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া খাবারও দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে গরম পানি।
অনেকেই ফলের পরিবর্তে ফলের রস বেছে নেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা যখন ফলের রস খাচ্ছি তখন ফলে থাকা ফাইবার হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যখন ফল চিবিয়ে খাচ্ছি, তখন ফলের সমস্ত উপকারী উপাদান শরীর পেতে পারছে।
বেশি ক্যালোরির কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবারের বদলে শস্য থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া হচ্ছে ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায়। অর্থাৎ সাদা আটা থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। এটি আপনার ক্ষুধার মাত্রা কমাবে। কার্ব-ডায়েট করার সময় দেহশক্তির জন্য শর্করার বদলে আপনার শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট ব্যবহার করবে।
দুপুরের খাবার বাদ দিলে একেবারেই চলবে না। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য দুপুরের খাবার বাদ দিয়ে থাকেন। এটা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতিদিন দুপুর দুটোর মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়া শেষ করে ফেলা দরকার।
রাতের খাবার অনেক দেরিতে খেলে তা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য খুবই জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রয়োজন। রাত ১০টার আগে ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
যোগাসন, সাইকেল চালানো, জিম, ওজন তোলারর মতো যে যে শরীরচর্চা নিয়মিত করে থাকেন, তা কোনওদিন বাদ দিলে চলবে না।
প্রতিদিন শরীরচর্চা তো করছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু নিয়ম মেনে করছেন কি? আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পা হাঁটুন। এতে যেমন ওজন কমবে, তেমনই বহু অসুখও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ওজন কমানোর বড় দাওয়াই হচ্ছে সবুজ শাকসবজি। বেশি করে শাকসবজি আপনাকে স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টিতে ভরপুর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত হয়। কম ক্যালোরি, পুষ্টিগুণযুক্ত সবুজ শাকসবজির মাঝে অন্যতম হচ্ছে ব্রোকলি, ফুলকপি, শাক, টমেটো, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, বাঁধাকপি, সুইস চারড, লেটুস ও শসা।