কোনো প্রাণীর শরীরের রঙের জন্য দায়ী জীবদেহের কোষের স্বাভাবিক রঞ্জন। এটা মানুষসহ প্রায় সব প্রাণীর মধ্যেই থাকে। এই কোষের জিনের সামান্য পার্থক্যেই বাঘের শরীরের রং পরিবর্তন হয়। পিকিং ইউনিভার্সিটির সু-জিন লুয়ো ও তাঁর দলের গবেষণার প্রতিবেদনটি কারেন্ট বায়োলোজি সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা রঞ্জক জিন এসএলসি৪৫এ২ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। মানুষসহ মুরগি, ঘোড়া ও মাছের হালকা রঙের জন্য এই জিনের ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখতে পান, সাদা বাঘের রঞ্জক জিনও এসএলসি৪৫এ২, তবে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এই জিন কমলা বা হলুদ রঞ্জক তৈরিতে বাধা দেয়। কিন্তু কালো রঞ্জকের ওপর এই জিনের কোনো প্রভাব নেই। তাই সাদা বাঘের শরীরে সাদা রঙের ওপর কালো ডোরাকাটা এখনো বিদ্যমান। বিড়ালের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে ।