Nishat Tasnim-
মুরগির রঙ নির্ভর করে পিগমেন্ট, জিন এবং লিঙ্গের উপর। প্রাকৃতিকভাবে মুরগি নীল, সবুজ, গোলাপি, বেগুনি রঙের হয়না। এই মুরগির বাচ্চাগুলোকে রঙিন করতে নন টক্সিক ডাই বা ফুড কালার ব্যবহার করা হয়। এই রঙ ইনকিউবেশনের সময় ডিমের ভিতর ইনজেকশন দেওয়া হয় অথবা সদ্য জন্ম নেওয়া মুরগির বাচ্চার গায়ে ডাই স্প্রে করা হয়। ইনকিউবেশনে থাকা ১০ থেকে ১৮ দিনের ডিমের ভিতর ফুড কালার বা ডাই ইনজেক্ট করা হয়। তারপর মোম দিয়ে ডিমের উপর হওয়া ছিদ্র ঢেকে আবার ইনকিউবেশনে রাখা হয়।
অনেক সময় মুরগির বাচ্চাগুলোকে রঙের বালতিতে ভিজিয়ে তারপর বাতাসে শুকানো হয়। এই রঙ কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। মুরগির বাচ্চা যখন বড় হওয়ার সাথে সাথে পালক পরিবর্তন তখন এই রঙ চলে যায়। পোট্রি ব্যবসায়ীদের মতে এতে মুরগির বাচ্চার কোনো ক্ষতি হয়না। তবে ইনকিউবেশন প্রক্রিয়ায় ভ্রুণের গায়ে যদি ইনজেকশনের সুই দিয়ে আঘাত লাগে তবে ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরিবেশবিদদের মতে এই রঙ ব্যবহারের ফলে মুরগির বাচ্চার ত্বকে কোনো প্রভাব পড়ে কিনা তা নিয়ে যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে।
© Nishat Tasnim (Science Bee)