Nishat Tasnim-
★ ছোট আকৃতির ডিমঃ-
মুরগির ডিমের স্বাভাবিক ওজন রয়েছে। বিভিন্ন কারনে মুরগি অনেক সময় স্বাভাবিক আকৃতির চেয়ে ছোট আকৃতির ডিম পাড়ে।
কারণঃ মুরগির দৈহিক ওজন খুব কম থাকা অবস্থায় অর্খাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যদি যৌন পরিপক্কতা আসে তাহলে ডিমের ওজন ও আকার ছেঅট হয়। আবার পুষ্টিহীনতা, পরিবেশের তাপমাত্রা বেশি হলে, পানির অভাব এবং ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস এর সংক্রমণ ঘটলে মুরগির দৈহিক ওজন স্বাভাবিক থাকা অবস্থায়ও ডিমের ওজন ছোট হতে পারে।
প্রতিকারঃ এ ক্ষেত্রে মুরগির ঘরে আলোক কর্মসূচী সমন্বয়/ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বয়স অনুযায়ী সঠিক পরিমানে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
★ বড় আকৃতির বা অধিক কুসুম বিশিষ্ট ডিমঃ-
এটাও ডিমের এক ধরনের অস্বাভাবিকতা। এ ধরনের ডিমের ফুড ভ্যালু বেশি হলেও মার্কেট ভ্যালু কম হয়।
কারণঃ অতিরিক্ত দৈহিক ওজনের মুরগি, বেশি বয়সের মুরগি থেকে বড় ডিম পাওয়া যায়। কোন কারনে যদি দুই বা ততোধিক Mature ova একই সময়ে ওভারিতে পৌঁছে এবং একই সময়ে অবমুক্ত হয় তাহলে মুরগি ডবল বা অধিক কুসুমযুক্ত ডিম পাড়ে।
প্রতিকারঃ মুরগির দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
★ বিকৃত আকৃতির ডিমঃ
বিকৃত আকৃতির ডিম মুরগির ডিমের একটি নির্দিষ্ট ও সুন্দর আকার এবং আকৃতি আছে। তবে কখনও কখনও সরু অংশ অতিশয় সরু বা চিকন দেখা যায়। আবার মোটা অংশ অধিক মোটা বা চিকন দেখা যায়।
কারনঃ অভিডাক্টে থাকার সময় অস্বাভাবিক চাপের কারণে ডিমের আকৃতির বিকৃতি ঘটে থাকে। সাধারণত মুরগি স্থানান্তর, কালিং বা অন্য কোন কারণে হ্যান্ডলিং করার সময় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
প্রতিকারঃ মুরগি স্থানান্তর, কালিং বা অন্য কোন কারণে হ্যান্ডলিং করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।