কাঁকড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা:-
কাঁকড়াতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। মাংসে যে পরিমান প্রোটিন থাকে কাঁকড়াতেও একই পরিমান প্রোটিন থাকে। কিন্তু মাংসে চর্বি থাকে বলে তা হার্টের রোগীর জন্যে ক্ষতিকর। কিন্তু কাঁকড়াতে চর্বি নেই বললেই চলে। কাঁকড়ার মাংসে কানেক্টিভ টিস্যু থাকেনা, তাই শিশু কিংবা বৃদ্ধ যেকোন বয়সের মানুষ সহজেই হজম করতে পারে।
কাঁকড়ায় আছে ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিড সাধারণত ভেজিটেবল ও তেল থেকে আমরা যে ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিডের চেইন পাই, তা দৈর্ঘ্যে ছোট হয়। শরীরে গিয়ে ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিডের এই ছোট ছোট চেইনগুলো এক সাথে হয়ে লম্বা চেইন তৈরি করে। এই লম্বা চেইনই মূলত আমাদের হার্ট ও ব্রেইনকে সুস্থ ও কার্যকরী রাখে। কাঁকড়ায় যে ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় তা লম্বা চেইনের হয়ে থাকে। ফলে কাঁকড়া দিতে পারে তাৎক্ষনিক ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিডের সাপ্লাই। শুধু হার্ট ও ব্রেইনই কেবল নয়, গবেষনায় জানা গেছে ব্যাক্তিত্বে আক্রমনাত্বক আচরন কমাতে পারে ওমেগা-৩-ফ্যাটি এসিড।
কাঁকড়ায় থাকে সেলেনিয়াম সব সামুদ্রিক মাছেই সেলেনিয়াম থাকে, কিন্তু কাঁকড়ায় সেলেনিয়াম থাকে পরিমানে আরো বেশি বেশি। সেলেনিয়াম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও থাইরয়েড হরমোন ঠিক রাখে। কাঁকড়ায় কড লিভার তেলের ৩ গুণ এবং গরুর মাংসের ১২ গুণ বেশি সেলেনিয়াম থাকে। কাঁকড়ায় রিবোফ্লাভিন যেহেতু বেশির ভাগ ভিটামিন পানিতে দ্রবীভুত, তাই শরীরে এগুলো মজুদ থাকেনা। খাবারের মাধ্যমে এসবের চাহিদা পূরণ করতে হয়। কাঁকড়ার মাংসে থাকে প্রচুর রিবোফ্লাভিন। রিবোফ্লাভিন ত্বক, চোখ ও স্নায়ুর সুরক্ষা করে। এছাড়াও আমাদের শরীরে স্টেরয়েড উৎপাদন ও লোহিত রক্তকনিকা তৈরিতে রিবোফ্লাভিন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের বাড়তি রিবোফ্লাভিনের উৎস হতে পারে কাঁকড়ার মাংস। কপার ও ফসফরাসে ভরপুর কাঁকড়া কাঁকড়ার মাংসে গরু ও মুরগীর তুলনায় ৫৬ গুণ বেশী কপার ও ফসফরাস পাওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রয়োজনীয় মিনারেল হল ফসফরাস। হাড় ও দাতের প্রধান মিনারেল হল ফসফরাস। আর কপার শরীরে আয়রনের মেটাবলিজম, সংরক্ষণ ও শোষনে ভূমিকা পালন করে।
mysepik