ছেলে কিংবা মেয়ে, সকলের ক্ষেত্রেই বিয়ের বয়স নির্বাচনে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আর সেটা আলাদা আলাদা। কারণ, বিয়ে করতে হলে মেয়েদের সন্তানধারণের জন্য শারীরিক গঠনের পূর্ণতা যেমন দরকার, তেমনই সংসার করার জন্য পরিণত-মনস্ক হওয়াও দরকার। আবার বেশি দেরী হয়ে গেলে সন্তানধারণ মুশকিলের হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, মেয়েদের ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার মা হওয়া উচিত। কারণ, এর পরে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। সুতরাং, ৩০ বছরের আগে মা হতে গেলে ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে বিয়ে করা উচিত। কিন্তু শিক্ষা এবং কেরিয়ার দুই গুছিয়ে উঠতে উঠতে অনেকেরই এই সময়টা পার হয়ে যায়। তাই বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে বলা হচ্ছে ২৭ থেকে ৩০ এর মধ্যে বিয়ে করে নেওয়া ভাল। এবং বিয়ের পরে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্তানধারণ করা উচিত। ছেলেদের শারীরিক ক্ষমতা অনেক বেশি দিন টিকে থাকে। কিন্তু, শুধু সন্তানধারণ নয়, বাবা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনও অত্যন্ত জরুরি কর্তব্য। তাই ৩৩ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। সেই হিসেবে বিয়ে করা উচিত ৩০ বছর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই।
দৈহিক কারণ :
বলা হয়ে থাকে ৩০ এর মাঝেই নারী পুরুষ উভয়েরই বিয়ে করে ফেলা উচিৎ তবে সেটা নারীদের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা আগে হলে ভালো। মানব দেহের অনেক জটিলতা রয়েছে। মানব যৌবন বেশিদিন স্থায়ী হয় না এটা আমরা সবাই জানি। এ কারণে বিয়ে যদি দেরিতে করা হয় তাহলে নারী পুরুষ উভয়েরই কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন শারীরিক মিলন ঠিকভাবে না হওয়া, বাচ্চা না হওয়া, বাচ্চা মিসক্যারেজ হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া ৩০ বছরের পরে নারীরা গর্ভধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে বা বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। স্বাভাবিকভাবে একজন নারীর ২৫ এর মাঝে এবং একজন পুরুষের অবশ্যই ৩০ এর মাঝে বিয়ে করা উচিৎ।
তথ্যসূত্র : নয়া দিগন্ত