মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ হলেও ছেলেদের ২১ কেন?
আইন অনুসারে ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ ও মেয়েদের ১৮। বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে আলাদা হলেও প্রাপ্তবয়স্কতার ক্ষেত্রে সে মাপকাঠি লিঙ্গ নিরপেক্ষ।বাল্যবিবাহ রোধ করতে এবং নাবালক-নাবালিকাদের হেনস্থা আটকাতে এই আইন স্থির করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অনানুষ্ঠানিক বিবাহ। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯ অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স ন্যূনতম ২১ এবং মেয়েদের বয়স ১৮ হওয়া বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারণে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্যবিবাহ হয়ে আসছে। ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে।বাল্যবিবাহ কিশোরী মেয়েদের সহজাত উচ্ছ্বাস, বৃদ্ধি ও গতিশীলতাকে থামিয়ে দেয়। পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য অল্প বয়সেই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে অল্প আয়ের পেশায় নিয়োজিত হতে হয়, যা বেশির ভাগ সময়ই শারীরিক পরিশ্রমের কাজ হয়ে থাকে। প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকার কারণে পরিবার-পরিকল্পনাসংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব থাকে, যার ফলে অধিক সন্তান গ্রহণের প্রবণতা তৈরি হয়। কৈশোরকালে গর্ভধারণের ফলে মেয়েরা অপুষ্টিতে ভোগে এবং গর্ভকালে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়। অপ্রাপ্ত বয়সে সন্তান প্রসবের কারণে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।