ছাই বা কয়লা হল এব্রেসিভ (abrasive) বস্তু। এরা দাঁতকে ক্ষয় করে ফেলে৷ বিশেষ করে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল যেখানে এনামেল দুর্বল থাকে৷ তখন ঐ জায়গায় দাঁতে খাঁজের মত সৃষ্টি হয় যাকে সারভাইকাল এব্রেশন(cervical abrasion) বলে। সারভাইকাল এব্রেশনের সাথে দাঁত মাজার পদ্ধতিরও সম্পর্ক আছে৷
টুথপেস্ট ব্যবহারে সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও অনেকে দাঁতের যত্নে ব্যবহার করেন কয়লা, ছাই কিংবা দাঁতের মাজন। এসব দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ধবধবে পরিষ্কার হয় ঠিকই, কিন্তু দাঁতের এনামেল (বহিরাবরণ) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কিছুদিন দাঁত সাদা ধবধবে থাকে। তবে কয়েক মাস ধরে কয়লা, ছাই, দাঁতের মাজন দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতে বাইরের চকচকে আবরণ পড়ে এবং দাঁতের দেয়ালে গর্তের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দাঁত তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে হলুদাভ হয়ে পড়ে এবং দাঁতের স্থায়ীভাবে উজ্জ্বলতা হারায়। কাজেই দাঁতের সাময়িক শুভ্রতার জন্য কয়লা, ছাই কিংবা দাঁতের মাজন দিয়ে দাঁত মাজা ঠিক নয়। ইতিমধ্যে যাদের দাঁত হলদেটে হয়ে রয়েছে কিংবা ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় রয়েছে,তারা একটু অতীতকে মনে করলেই খুঁজে পাবেন, অতীতে তারা বেশ কিছু সময় এসব প্রচলিত ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে দাঁত মেজেছেন বা মেজে যাচ্ছেন। তবে জন্মগত কারণেও দাঁত হলদেটে হতে পারে। সাধারণত ফর্সা লোকের দাঁত হলদেটে বা কম সাদা এবং কালো লোকদের দাঁত বেশি সাদা থাকে। এটি সম্পূর্ণই জন্মগত ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে মাজন ব্যবহার করে দাঁত উজ্জ্বল করা যাবে না।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ