Nishat Tasnim-
ট্যাটুকৃত অবস্থায় রক্ত দান করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। সংক্ষেপে বললে আপনার ট্যাটুর বয়স যদি এক বছরের কম হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি রক্ত দান করতে পারবেন না। ট্যাটুর কালি, ধাতব বস্তু, কিংবা অন্য যেকোনো বহিরাগত বস্তু শরীরে প্রবেশ করলে এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে এবং এগুলো শরীরে ক্ষতিকারক ভাইরাসও সংক্রমণ করতে সক্ষম। তাই ট্যাটু করার ফলে আপনার রক্তপ্রবাহে নানা ধরণের ক্ষতিকারক বস্তু অবস্থান করতে পারে। বিশেষত আপনি যদি এমন কোনো জায়গা থেকে ট্যাটু করার যেখানে ট্যাটু করার পদ্ধতি এবং কি কালি ব্যাবহৃত হবে তা নিয়মত্রান্ত্রিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় না।
তাই বিভিন্ন রক্ত দান কেন্দ্র ট্যাটুকৃত অবস্থায় রক্তদান করতে কিছু নিয়ম মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেন।
১) ট্যাটু এবং রক্ত দানের মধ্যকার সময় এক বছরের কম হলে।
- ট্যাটু করার পরপরই রক্ত দান অনেক সময় নিরাপদ নয়। ট্যাটুর সুচ অনেক সময় নানা ধরণের ক্ষতিকারক রোগ জীবাণু বহন করতে পারে। যেমনঃ
* হেপাটাইটিস বি,
* হেপাটাইটিস সি,
* HIV ইত্যাদি।
২) সরকারি ভাবে নিয়মনীতি তৈরি না করা এবং যেসব দোকান নিয়মনীতি না মেনে চলে এরূপ দোকান থেকে ট্যাটু করা।
তবে রেড ক্রিসেন্ট এর মতে নিরাপদ ও সরকার অনুমোদিত কালি ও সুচ ব্যবহার করার আগে ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করে সুচ বিশুদ্ধ করলে ট্যাটু করার পর পরই রক্ত দান করা যেতে পারে।
শেষ কথা যতক্ষণ আপনি নিরাপদ ভাবে ট্যাটু গ্রহণ করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত রক্তদান করতে আপনার কোনও বাঁধা নি। অবে এক্ষেত্রে ১ বছর অপেক্ষা করা উত্তম কারণ কেউ জানে না যে আপনি যে স্থান হতে ট্যাটু নিয়েছেন সেটি সরকার অনুমোদিত কিনা। আর, ট্যাটু করার পর রক্ত দান করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করে নেয়াটা ভালো।
(বিঃদ্রঃ এখানে সরকার বলতে আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বুঝিয়েছি)
©দিপঙ্কর চক্রবর্তী