Abrar Islam Ador
ফেলো সায়েন্টিফিক আমেরিকান ব্লগার মেলানিয়া ট্যানেনবাউম মনোবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান নয় বলে অভিযোগ করেছিলেন। অ্যালেক্স বেরেজোর যিনি একটি অণুজীববিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে মনোবিজ্ঞানটি সত্যিকারের বিজ্ঞান নয়।
মনোবিজ্ঞান, অন্যান্য বিজ্ঞানের মতো এমন কিছু মতের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় যা বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিগুলি উপস্থাপন ও সরল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলির উপর ভিত্তি করে অনুমানগুলি ব্যাখ্যা ও বৈধ করার জন্য এটি একটি উপায় হিসাবে ব্যবহার হয়। সুতরাং, একটি মত যত বেশি শক্তিশালী হয় তত বেশি "নির্ভুল" হবে।
সুতরাং, আমি অনুমান করি যে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি হবে আপনার নিজের কাছেই। কিভাবে জানতে চান?
মনে করুন, আপনি একটি মানসিক সমস্যায় পরেছেন এবং অনেকদিন যাবত, অনেকের থেকে পরামর্শ নিয়েও আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। কিন্তু, অবশেষে একসময়ে আপনি নিজে নিজেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। এবং কিছুদিন পর সেই একই সমস্যা অন্য একজনের হয় এবং আপনার থেকে বুদ্ধি চাইলে আপনি তাঁকে সাহায্য করেন এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে ফেলে। তাহলে এখন আপনি কি নিজেকে মনোবিজ্ঞানী বলবেন?
মনোবিজ্ঞান টা ঠিক এমনই। মনোবিজ্ঞানের একেকটা অংশ বা থিওরি বাস্তব উপলদ্ধি থেকে নেয়া। যে যত মানুষের মন নিয়ে, মানুষের মানসিক সমস্যা নিয়ে বিশ্লেষণ করে সে তত তাড়াতাড়ি মনকে উপলদ্ধি করতে পারে।
মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের এক সময়ে কিন্তু নিজের মনকে পড়ার জন্য বলা হয়। যেটা মনোবিজ্ঞান পড়ার একটা অংশও বটে।