ব্রেইল পদ্ধতি কাগজের ওপর ছয়টি বিন্দুকে ফুটিয়ে তুলে লিখবার একটি পদ্ধতি। দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা উন্নীত বা উত্তল ফুটিয়ে তোলা বিন্দুগুলোর ওপর আঙ্গুল বুলিয়ে ছয়টি বিন্দুর নকশা অনুযায়ী কোনটি কোন অক্ষর তা’ অনুধাবন করতে সক্ষম হয় এবং লেখার অর্থ বুঝতে পারে। ছয়টি বিন্দুর কোনোটিকে উন্নত করে আর কোনোটিকে উন্নত না-করে ৬৩টি নকশা তৈরী করা যায়। এক-একটি নকশা দিয়ে এক-একটি অক্ষর, সংখ্যা বা যতিচিহ্ন বোঝানো হয়। ৬টি বিন্দু বাম ও ডান দুটি উল্লম্ব স্তম্ভে সজ্জিত থাকে।
অর্থাৎ প্রতি আনুভূমিক সরিতে থাকে দুটি বিন্দু। বিন্দুগুলোর পরস্পরের আকার ও অন্তর্তী দূরত্ব থাকে অভিন্ন। যেমন, যদি কেবল বাম স্তম্ভের ওপরের বিন্দুটি উত্তল থাকে আর বাকী ৫টি থাকে সমতল, তবে এ নকশাটি দ্বারা ইংরেজি বর্ণমালার a অক্ষর বোঝায়। রন্ধ্রযুুক্ত ধাতব পাত ব্যবহার করের সাহায্যে হাতে বিশেষ ধরনের কাগজের ওপর ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা যায়। বিকল্পে একটি বিশেষায়িত টাইপরাইটার ব্যবহার করা হয়।
ব্রেইল পদ্ধতিতে একটি চতুর্ভুজ আকৃতির বক্স এ ছয়টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকবে ৩ x২ কলামে।অর্থাৎ নিচের দিকে তিনটি এবং পাশাপাশি ২ টি। প্রতিটি ছিদ্র এক একটি বর্ণমালা, সংখ্যা নির্দেশ করবে। এই ছয়টি খালি ছিদ্রের মধ্যে একটু উঁচু বা পূর্ণ যেগুলো থাকবে সেগুলোই হচ্ছে বর্নমালা বা সংখ্যা চেনার নির্দেশক।
এই পদ্ধতির মোট তিনটি ভার্সন বা শ্রেনীবিভাগ আছে। সেগুলো হলোঃ
গ্রেড ১: এটি মুলত যারা নতুন করে ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়া শিখতে চায় তাদের জন্য। এই গ্রেডে সাধারণত ২৬ টি বর্নমালা এবং কিছু চিহ্ন শেখানো হয়।
গ্রেড ২: এই গ্রেডে বর্নমালা শেখানোর পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে ব্যবহার করা বিভিন্ন চিহ্ন, ব্রেইলে করা বই পড়া, ব্রেইল করার জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে পরিচয় এবং তা ব্যবহার করার নিয়ম শেখানো হয়।
গ্রেড ৩: ব্রেইলের বর্ণমালা এবং পড়ার সাথে যারা মোটামুটি ভালভাবে পরিচিত হয় তাদের এই গ্রেডে বিভিন্ন ছোটখাটো লেখা কিভাবে লিখতে হয় সেটি শেখানো হয়।
[কালেক্টেড]