জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহের এবং যেকোনো দূরবর্তী বস্তুর দূরত্ব নির্ণয় করতে প্যারাল্যাক্স পদ্ধতি (Parallax Method) ব্যবহার করেন।
প্যারাল্যাক্স পদ্ধতিটি বুঝতে গেলে: আপনার বুড়ো আঙুলটাকে এক হাত দূরত্বে রেখে, প্রথমে সেটাকে এক চোখ বন্ধ করে অপর চোখে এবং দ্বিতীয়বার অপর চোখ বন্ধ করে অন্য চোখে দেখতে হবে। আপনার বুড়ো আঙুলটা পিছনের (দূরবর্তী) বস্তুর বিরুদ্ধে স্থানান্তরিত হচ্ছে তা লক্ষ্য করবেন। কারণ আপনার দুটি চোখ কয়েক ইঞ্চি দূরে অবস্থিত, তাই দুটি চোখই একটি ভিন্ন অবস্থান থেকে আপনার বুড়ো আঙুলটাকে দেখে। আপনার বুড়ো আঙুলের যে স্থানান্তর প্রদর্শিত হবে, সেটি তার প্যারাল্যাক্স।
যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি বস্তুর প্যারাল্যাক্স পরিমাপ করেন এবং দুটি অবস্থানের মধ্যে বিচ্ছেদ জানতে পারেন (যেখান থেকে এটি দেখা হয়), তারা তখন বস্তুর দূরত্ব গণনা করতে পারেন।
এখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে অন্যান্য গ্রহের সরাসরি দূরত্ব পরিমাপ করার জন্য অনেক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি আছে।
যখন আমাদের মহাকাশযান অন্য গ্রহে থাকে, তখন আমরা সেই মহাকাশযানে একটি রেডিও সংকেত পাঠিয়ে জানতে পারি যে পৃথিবী থেকে সেখানে সংকেতটির পৌঁছাতে কত সময় সময় নেয়।
আমরা একটি গ্রহের দিকে একটি শক্তিশালী রাডার সংকেত পাঠাতে পারি, এবং ইকোটি প্রত্যাবর্তনের জন্য কতক্ষণ লাগে তা নির্ধারণ করতে পারি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই সংকেতগুলি কত দ্রুত ভ্রমণ করে তা জানেন, তাই তারা সময় পরিমাপ করে খুব সঠিকভাবে দূরত্ব গণনা করেন।
সূত্র:কোরা