মশা প্রথমে তার শিকারের খোঁজ করে। শিকার ট্র্যাক করার জন্যে মশাদের রয়েছে ব্যাটারি অব সেন্সর। আর এই ব্যাটারি অব সেন্সর ৩ ভাগে বিভক্ত-
১. কেমিক্যাল সেন্সর
২. ভিজ্যুয়াল সেন্সর
৩. হিট সেন্সর
১. কেমিক্যাল সেন্সর: মানুষ কিংবা পশু-পাখির শরীর থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং লেকটিক অ্যাসিডের মতো কেমিক্যাল বোঝার জন্যে মশাদের রয়েছে দারুণ সেন্স। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সর্বোচ্চ ১০০ ফিট বা ৩৬ মিটার উপর থেকেও মশারা এইসব কেমিক্যালের আভাস পায়। স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পশু-পাখি তাদের শরীর থেকে নি:শ্বাসের সঙ্গে এসব গ্যাস বের করে দেয় আর মশার উপরোক্ত দূর থেকেও এসব গ্যাসের গন্ধ পায় এবং গন্ধ ধরেই কাছে চলে আসে।
২. ভিজ্যুয়াল সেন্সর: আপনি যদি এমন কোনও জামা-কাপড় পরিধান করেন যা আপনি যেখানে আছেন সেখানকার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বিপরীত, অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আলাদা করে সহজে বোঝা যায়, তবে মশারা আপনাকে অনায়াসেই দেখতে পায়। যখন আপনি মুভ করেন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাঁটা-চলা করেন, তখনও মশারা তাদের ভিজ্যুয়াল সেন্সর দিয়ে সহজেই আপনার মুভমেন্ট বুঝতে পারে। কাজেই, মশাদের থেকে আপনার পালানোর পথ নেই। মশারা যে কোন জীবন্ত প্রাণীর, বিশেষ করে যাদের শরীরে রক্ত আছে, তাদেরকে ভিজ্যুয়াল সেন্সরের মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারে।
হিট সেন্সর: মশারা অনায়াসেই উষ্ণতা ডিটেক্ট করতে পারে। কাজেই, তারা উষ্ণ রক্ত আছে এমন যে কোনও স্তণ্যপায়ী প্রাণী এবং পশু-পাখিকে হিট সেন্সর দিয়ে ট্র্যাক করে নেয় এবং কাছাকাছি চলে আসে।