Nishat Tasnim-
মৃগী রোগীর চিকিৎসাঃ-
বর্তমানে মৃগী রোগের ভাল চিকিৎসা আছে। সকল খিঁচুনির জন্যই প্রথমেই সরাসরি মৃগী রোগের চিকিৎসা শুরু করা হয় না। বিশেষ করে প্রথমবার খিঁচুনি হলে এবং সেটা মারাত্মক অবস্থার দিকে না গেলে তবে এর জন্য দ্বিতীয় টার্মের অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসকরা সেডিটিভ জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে খিঁচুনি উপশম করতে পারেন। কোন কারনে মস্তিষ্কের স্নায়ুগত ফাংশন স্থায়ী ভাবে নষ্ট হওয়ার থাকলে এবং একজন নিউরোসার্জন প্রয়োজন মনে করলে সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে। আবার নিউরোসার্জন প্রয়োজন মনে করলে একটি দৃশ্যমান ইলেক্ট্রিক্যাল তরঙ্গ ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে ইলেকট্রিক তরঙ্গ চিকিৎসা করতে পারেন। এতে বেশিরভাগ মৃগীরোগীর পুনআক্রমণ অনেক দেরিতে হয়।
প্রথম থেকেই সতর্ক হলে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ঠিকমত ঔষধ সেবন এবং অন্যান্য বিষয় মেনে চললে সুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি কারন- এই সকল ঔষধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যা খুবই মারাত্মক হতে পারে, যেমন- লিভার কিংবা কিডনির সমস্যা, স্টিভেন জনসন সিনড্রোম, রক্তের অণুচক্রিকা কমে যাওয়া ইত্যাদি। তাই, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং সঠিক নিয়মে ঔষধ সেবন করতে হবে। এসব ওষুধ চলাকালীন সময়ে অ্যান্টাসিড, অ্যাসপিরিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। ওষুধ খাওয়ার সময় সন্তান নিতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধারনভাবে মাতৃদুগ্ধ পানে কোন সমস্যা হয় না।