প্রকৃতপক্ষে না। হরলিক্সকে আপনি এর এডের পরিপেক্ষিতে ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট বলতে পারেন, যেটা প্রোপার ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ ছাড়া নেয়া উচিত না। তবে ভয়ের কিছু নেই এটা প্রকৃতপক্ষে কোনো সাপ্লিমেন্ট না। বাংলাদেশে যে হরলিক্সটি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে ফুড ফরটিফাইড। পাউডার দুধ, গম এবং বার্লির সংমিশ্রণে তৈরি হরলিক্সে ভিটামিন এবং মিনারেল যোগ করা হয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে। হরলিক্স প্রস্তুকারি কোম্পানি হচ্ছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (GlaxoSmithKline(GSK))।
যেই ভিটামিন এবং মিনারেলগুলো উপকারি কিনা সে ব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরাই নিশ্চত নন, বরং অতিরিক্ত নেওয়ার কারণে সমস্যা হতে পারে সেগুলো আজ অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনভোলানো বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের সামনে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। হরলিক্স`র দেশ ব্রিটেনে দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলোতে যা বলা হয়:
“Horlicks doesn`t just taste great; one mug contains 12 essential vitamins and minerals and is a rich source of Vitamin D - an essential aid to calcium absorption”.
“Horlicks contains a wide range of vitamins and minerals. Dr Frankie Phillips - an independent Nutrition Consultant and Registered Dietician - gives you the good news about how these vitamins and minerals are essential for wellbeing. We all need a variety of essential vitamins and minerals to carry out important roles to keep us well”.
অ্যাডগুলোর কোথাও লেখা নেই: “বেড়ে ওঠার ডোজ” বা “Stronger, Taller, Sharper” বা “২ গ্লাস হরলিক্স = ৬৬৬ গ্রাম ইলিশ মাছের সমান আয়রন। ”
এই অ্যাডগুলো তারা ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও দেয় না। কারণ এ ধরনের ভুয়ামি করলে তারা সেই দেশগুলোতে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। ২০০৪ সালে ডেনমার্কে হরলিক্স নিষিদ্ধ করা হয় অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল ব্যবহারের কারণে।
UK-তে “Stronger, Taller, Sharper”এই অ্যাডটি নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৮ সালে। তাও বাংলাদেশি কয়েকটি টিভি চ্যানেল এটি প্রচার করে। আরো মজার বিষয় হল, ইউকে’র হরলিক্সটি ফুড ফরটিফাইড নয়। মানে এতে অতিরিক্ত কোনো ভিটামিন অথবা মিনারেল এতে যোগ করা হয়নি।
কিন্তু, এখানে তাই করা হচ্ছে গ্রাহকের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় না এনেই।
Nadia Islam
বেসিক রেফারেন্সঃ নিউজ বাংলা ২৪