নিচের উপায়গুলো মেনে চললে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং আরামদায়ক হবে।
★ ঘুমের আগে খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে শসা কিংবা যেকোনও শরীর ঠান্ডা রাখা খাবার খেলেই ঘুম ভাল হবে।
★যাবতীয় চিন্তা সরিয়ে ফেলে শুধুমাত্র ঘুমের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব যন্ত্রপাতি বন্ধ করা আর কৃত্রিম আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়া ভালো ঘুমের একটি উপায় হতে পারে।
★সময় বা ঘড়ির প্রতি আবিষ্ট হয়ে থাকা ভাল কোনও লক্ষণ নয়। কখন ঘুম থেকে উঠলেন বা প্রতিদিন কত সময় ঘুমালেন সেটি নিয়েই অনেকে চিন্তায় থাকেন। তাই শোবার ঘরের ঘড়িকে এমনভাবে রাখুন যেন হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘড়ির দিকে চোখ না যায়। তাই মুখের সামনে থেকে ঘড়ি সরিয়ে রাখুন।
★প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘুমের সময়টা ঠিক রাখুন। বিজ্ঞান বলে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা ঘুমানোর আদর্শ সময়।
★একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়ার অভ্যাস করে ফেলতে পারলেই তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। যে অভ্যাসের পোশাকি ভাষা '৪-৭-৮'। যাদের রাতে ঘুম আসে না তাদের জন্য এই সহজ উপায়ের পথ দেখিয়েছেন লেখক তথা চিকিৎসক অ্যান্ড্রু ওয়েইল।
★ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম জল দিয়ে গোসল করলে ঘুম ভালো হয়। অথবা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম জল দিয়ে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে নিন,পা চুল আঁচড়ে পরিপাটি হয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিন। এতেও ঘুম ভাল হবে।
★দৈনিক পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়। পর্যাপ্ত পরিশ্রমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর তাই ঘুম ভালো হয়।
★শোয়ার ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক রাখুন। দিনশেষে ঘুমানোর জন্য যে রুমটাতে ফিরে যাচ্ছেন তার পরিবেশ আরামদায়ক ,স্বস্তিদায়ক হলে ভাল হয়। আরামদায়ক বিছানা, নরম কুশন, হালকা রঙের পর্দা, খোলামেলা রুম যাতে হাওয়া চলাচল ভালো হয়, এগুলো খেয়াল রাখলে ঘুম ভালো হয়।
★বিছানায় যাওয়ার আগেই কাজ শেষ করা উচিত। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ থাকে যা আমরা শেষ করতে পারি না। আর অনেকেই সেসব কাজ নিয়েই চলে যান বিছানায়। ছোটখাটো একটা অফিসে পরিণত হয় সাধের বিছানা। এমনটা করা যাবে না।