এই একেক জায়গায় একেকরকম ঘুমের কারন হলো আবহাওয়া ও সেই স্থানের পরিবর্তন। স্থানের পরিবর্তনের ফলে মানুষের বায়োলজিকাল সাইকেল চেন্জ হয়। যখন একটু নিরব, শান্ত পরিবেশ পায় মানুষের যান্ত্রিক চিন্তা ভাবনা গুলো খুব বেশি ভাবিয়ে তুলে না। মনকে শ্রান্ত করে দেয়, অবলিলায় ঘুম চলে আসে। এমনো মনে হয় গ্রামের রাতগুলোকে বড় মনে হয়। ঝিঁঝি পোকার আওয়াজ ছাড়া কারো আওয়াজ নেই, কোলাহল নেই। রাত ৯ টায় মনে হয় গভীর রাত। এটার কারনে আমার বায়োলজিকাল সাইকেল বুঝতে পারেনা যে এখন মাত্র ৮/৯ টা। মস্তিস্ক ভাবতে শুরু করে এটি মধ্যরাত। মনোবিজ্ঞান বলে মানুষ অসুস্থবোধ করলে অথবা ঘুমের সমস্যা হলে সে যেন স্থান পরিবর্তন করে নেয়। কারন, মানুষ একই গন্ডিতে আবদ্ধ থাকলে তারা সেই স্থানকে একটা রুটিনের মতো বানিয়ে নেয় যা থেকে অভ্যাস পরিবর্তন বা ঘুমের সমস্যা সমাধান করা যায় না। এজন্যই মূলত গ্রামে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে এবং শহরে বাসায় বা মেসে রাত ২/৩ টার আগে ঘুম আসেনা।
আর সময় কেন দ্রুত যায় শহরে? এর কারন উদঘাটনে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয় যা আমরা সচরাচর ইস্যু বলে মনে করিনা। শহরে আমরা যান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন থাকি। যান্ত্রিকতা বলতে কাজ নিয়ে চলা কাজ নিয়ে ঘুমানো বুঝাতে চাচ্ছি। এই কাজের চাপ নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া, কাজের চাপ নিয়ে ঘুম থেকে উঠা, রাতে বেশির ভাগ মোবাইল ফোন ইউজ করা ইত্যাদি বিষয় গুলো একত্রিত হয়ে একটা জটিলতা তৈরী করে। আর এটিই একজন ছেলে/মেয়ের সাইকোলজিক্যাল দিকটিকে এক প্রকার বায়াসড করে ফেলে। ফলে সে ১১ টায় বিছানায় গেলেও তার ২/৩ টার আগে ঘুম আসেনা। যেটা গ্রামে না চাইতেই ৯/১০ টায় চলে আসে।
নিরবতা মস্তিস্ককে দ্রুত ভাবিয়ে কাজ করিয়ে ফেলে। এতে মস্তিস্ক রিল্যাক্সেশন ফিল করে তাই তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। আর মাল্টিটাস্কিং ও কোলাহল মানুষকে যান্ত্রিক করে ফেলে,মানুষ রোবট হয়ে যায় তবে ভাববোধ ও মস্তিস্ক স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা না করে এলোমেলো চিন্তা করে। ফলে ঘুমাতে দেরী হয়ে যায়।
এখানে মোবাইল ফোন ব্যাবহারের কথা স্কিপ করেছি। কারন, এটি ক্ষতিকারক হলেও। গ্রামের ঘুম আর শহরের ঘুমের ক্ষেত্রে এটি তেমন ভুমিকা রাখেনা। গ্রামে মোবাইল ফোন চাপলেও তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। এর অন্যতম কারন উপরোক্ত বিষয়াবলী। আশাকরি উত্তরটি আপনার সহায়ক হবে। ধন্যবাদ।