নিদ্রাহীনতার কারন কি ? পরিত্রানের উপায় কি ? হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙে গিয়ে আর ঘুম আসে না। এই সমস্যার কারন কি ? আর প্রতিকার কি ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
1,981 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (10,910 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (10,910 পয়েন্ট)

Afsana Afrin-ইনসোমোনিয়া (Insomonia)

ইনসোমনিয়া মূলত কোন রোগ নয়, বরং একটি অবস্থা। ঘুমাতে না পারার অক্ষমতা বা একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে থাকতে না পারার অবস্থাকেই ইনসোমনিয়া বলে। বিভিন্ন কারনে ইনসোমনিয়া হতে পারে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, খাদ্যাভ্যাস প্রযুক্তি ই
ত্যাদি।

স্লিপ-হেলথ ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি তিনজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন।এই সমস্যা একেকজনের জন্য একেকরকম হতে পারে। কারো হয়তো ঘুমই আসে না, আবার কেউ হয়তো নির্ধারিত সময় না হওয়া পর্যন্ত ঘুমাতে পারে না।

সময়কালের ওপর ভিত্তি করে সাধারণত দু’ধরনের ইনসোমনিয়ার কথা বলা যায়। প্রথমে তীব্র বা ক্ষণস্থায়ী ইনসোমনিয়ার কথা বলা যাক। এটি সাধারণত দুই-তিন দিনের জন্য কোনো বিশেষ কারণে (যেমন- স্থান পরিবর্তন) ঘটে। চিকিৎসা ছাড়াই সাধারণত এর থেকে মুক্তি মেলে। দ্বিতীয়টি হলো ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী ইনসোমনিয়া, যা সারাতে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এর ফলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় তিন রাত ঘুমের সমস্যা হয় আর তা তিন মাস বা তার বেশি সময় স্থায়ী হয়।

ইনসোমনিয়াকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়-

১. ইনিশিয়াল ইনসোমনিয়া: এদের ঘুম আসতে দেরি হয়।

২. মিডল ইনসোমনিয়াঃ এদের ঘুম বার বার ভেঙ্গে যায়।

৩. গ্লোবাল ইনসোমনিয়া:উপরের দুটি লক্ষণই পাওয়া যায় এদের মধ্যে।

মূলত মধ্যবয়সী ছেলে মেয়েরাই এতে বেশি আক্রান্ত হয়। আর ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি দেখা যায় এই সমস্যাটি, এবং যেকোনো বয়সেই হতে পারে সমস্যাটি।

অনেকদিন ইনসোমনিয়ায় ভুগলে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে আত্মহত্যার প্রবণতাও জন্ম নিতে পারে।

0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

যাদের অনিদ্রার সমস্যা আছে তাদের প্রতিনিয়ত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মস্তিষ্ক ও ঘুম-বিষয়ক চিকিৎসক নেইট ফাভিনির মতে, “প্রত্যেকেরই কখনও না কখনও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের সমস্যা যখন জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব রাখা শুরু করে তখন তা অনিদ্রার সমস্যায় পরিণত হয়।

অনিদ্রার সময়ের ব্যাপ্তির উপর ভিত্তি করে একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়


‘অ্যাকিউট’ বা তীব্র অনিদ্রা: কোন বিশেষ কারণে অনিদ্রা দেখা দেয় যেমন- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ এবং কয়েকদিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা: এটা সাধারণত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘদিনের জন্য- প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে কমপক্ষে তিন মাস ব্যাপী।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমেরিকানদের মধ্যে প্রতি বছর ২৫ শতাংশের তীব্র অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয় এবং তার ৭৫ শতাংশই দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রার সমস্যায় পরিণত না হয়ে সমাধান হয়ে যায়।


কারণ

সাধারত, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এই দুই কারণে অনিদ্রা দেখা দেয়। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য হল- মাধ্যমিক অনিদ্রা সাধারণত অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়ে থাকে। আর প্রাথমিক অনিদ্রা হল প্রধান অসুস্থতা।   

প্রাথমিক অনিদ্রাঃ এটা কোনো স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত না এটা সাধারণত তীব্র অনিদ্রা।  এটা মূলত নিম্নোক্ত কারণের জন্য হয়ে থাকে-

মানসিক চাপঃ: চাকুরির সাক্ষাৎকার, পরীক্ষা এমন কি জীবনের বড় কোনো পরিবর্তন যেমন- কাছের কারও মৃত্যু বা সম্পর্কে বিচ্ছেদ ইত্যাদি নানা কারণে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশের অভাবঃ উদাহরণ স্বরূপ, ঘুমানোর সময় বেশি গরম, বা ঠাণ্ডা ইত্যাদি কারণেও ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।

ঘুমের অনিয়মিত রুটিনঃ: অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস যেমন- প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে না যাওয়া। ঘুমের রুটিনের পরিবর্তন এই ধরনের অনিদ্রার কারণ।

এখন আসি প্রতিকারে।

প্রাকৃতিক উপায়ঃ:  ঘুমানোর আগে আরামাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করুন ও মন ভালো রাখে এমন কাজ করুন। রাতে ঘুমানো আগে মোবাইল ব্যবহার না করে আরাম করে এক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করুন, আরাম অনুভূত হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চাঃ: গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা হলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

ধ্যানঃ ধ্যান মানুষের মনকে শান্ত রাখে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়ম মেনে ধ্যান করা হলে ঘুম ভালো হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 776 বার দেখা হয়েছে
+15 টি ভোট
2 টি উত্তর 749 বার দেখা হয়েছে
01 জুন 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,290 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 682 বার দেখা হয়েছে

10,812 টি প্রশ্ন

18,518 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

618,414 জন সদস্য

81 জন অনলাইনে রয়েছে
14 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Dibbo_Nath

    230 পয়েন্ট

  2. giavangol2025

    120 পয়েন্ট

  3. hailmagic4

    100 পয়েন্ট

  4. joinzipper9

    100 পয়েন্ট

  5. dreamquill91

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...