আমাদের পাকস্থলীতে আছে প্রচন্ড শক্তিশালী হাইড্রোক্লোরিক এসিড। এই এসিড এর সাথে আরো কিছু এনজাইম মিলে খাবার পরিপাকের কাজ সম্পন্ন হয়। এনজাইমগুলো আমাদের নিয়মিত নির্দিষ্ট খাওয়ার সময়ে পাকস্থলীর পর্দা থেকে নিঃসৃত হয়। যখন আমরা সময়মত খাবার খাই, তখন এরা খাবারের সাথে মিশে খাবারের উপরেই কাজ করে; ফলে তা আর পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ চামড়ার ক্ষতি করতে পারেনা। কিন্তু যখন খাবারে অনিয়ম দেখা দেয়, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া হয়না, তখন এই অতিরিক্ত অ্যাসিড পাকস্থলীর মিউকোসার পর্দা নষ্ট করে পাকস্থলীর সংস্পর্শে আসে এবং প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এছাড়াও হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াও মিকোসাল পর্দা নষ্ট করে দেয়। জন্মগতভাবে যাদের পৌষ্টিকতন্ত্র দুর্বল, বা কারো পৌষ্টিকতন্ত্র থেকে বেশি পরিমাণে অ্যাসিড এবং প্রোটিন পরিপাককারী একধরনের এনজাইম (পেপসিন নামে পরিচিত) নিঃসৃত হতে থাকে, তবে এসিডিটি হতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের কারণে পাকস্থলীতে বেশি অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। অনিদ্রা, অতিরিক্ত টেনশন, বেশি তেলে ভাজাপোড়া খাবার, ধূমপান ইত্যাদিও বাড়তি অ্যাসিড তৈরি করে।
এসিডিটির ওষুধ হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত হলো এন্টাসিড। এন্টাসিড হলো মূলত ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড যা একটি ক্ষারীয় পদার্থ।আমাদের পেটে যে গ্যাস সৃষ্টি হয় তা মূলত হাইড্রোক্লোরিক এসিড। আমরা যখন এন্টাসিড খাই, তখন এন্টাসিডের ক্ষারীয় পদার্থ এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। যার ফলে মানব শরীরের গ্যাস ও অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত হয়ে যায়।