শীতে আসলে অনেকেরই হাত-পা ঘামে । ফলে পোহতে হয় নানা দুর্ভোগ। আবার পা ঘেমে যাওয়ার কারনে এ থেকে সৃষ্টি হতে-পারে দুর্গন্ধ। এ নিয়েও অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককে।অল্পেই নার্ভাস হয়ে পড়েন আর তেমনটা হলেই হু হু করে ঘামতে থাকে আপনার হাতের পাতা বা পায়ের তলদেশ? যত ক্ষণ উত্তেজনা তত ক্ষণই সেই ঘাম থেকে যায় হাত-পায়ে। বার বার ঘাম মুছলেও তা সহজে যায় না। আদৌ কি এই ঘাম কোনও অসুখের সঙ্কেত?কিন্তু চিকিত্সাবিজ্ঞান বলছে, এতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এটা কোনো অসুখ নয়।অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, উত্তেজনা যতক্ষণ স্থায়ী হয়, ততক্ষণ হাত বা পায়ের তালু ঘামাতে থাকে। বারবার ঘাম মুছলেও সহজে যায় না। আবার ঘামাতে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকে চিকিত্সকের দ্বারস্থ হন।
এক জন কোনও নির্দিষ্ট উত্তেজনা, মূলত ভয় পেলে বা হঠাৎই কোনও আনন্দ পেলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যেহেতু প্রত্যেকের হরমোন ক্ষরণ ও উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার প্রবণতা সমান হয় না, তাই তেমন পরিস্থিতি এলে এই হরমোনের ক্ষরণ ব্যক্তিবিশেষে বাড়ে-কমে। যাঁদের শরীর আবেগে বেশি সংবেদনশীল বা অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বেশি, তাঁদের হাত-পায়ের পাতাই উত্তেজনায় ঘামে। টেনশন হলে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে যাওয়া এই ঘামের অন্যতম কারণ।
অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়লেই তা ঘর্মগ্রন্থিগুলিকে উদ্দীপ্ত করে ও এক্রিনের ক্ষরণ বাড়ায়। উত্তজনায় কারও কারও শরীর অত্যন্ত গরম হয়ে যায়। তখন তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় এক্রিন শরীরের অভ্যন্তরে তরল জলীয় পদার্থ নিঃসরণ করে। সেটাই তখন হাত-পায়ের তালু দিয়ে বার হয়। তা শরীরের তাপমাত্রা শুষে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই অল্পস্বল্প হাত-পা ঘামা নিয়ে মাথা ঘামাতেই রাজি নন চিকিৎসকরা। হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, তা করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।