Warman Hasbi-
আমাদের মত মহাকাশচারীরাও হাচি দেয়,পৃথিবীতে হাচি দিলে এর সাথে বের হওয়া ব্যাকটেরিয়া বা অনুজীবগুলো বেশি দূর যেতে পারে না কারণ গ্রাভিটির কারনে তা ভূমিতে লেগে যায়, কিন্তু মহাকাশচারীরা স্পেসওয়াকের সময় একমাত্র খোলা স্পেসে থাকে এবং তখন তারা স্পেসসুইট পরিধিত থাকেন, তখন হাচি দিলে তা বিরক্তিকর হয় কারন তাদের চোখের সামনে থাকা গ্লাস ঝাপসা হয়ে যায় এবং তখন তা পরিষ্কার করারও কোন ওয়ে থাকে না যদিও স্পেসসুট এর হেলমেট এর ভেতর নাক মুখ চুলকানোর ব্যাবস্থা থাকে হয়ত এতে হাচি আসার আগে তা কিছুটা থামানো যায় কিছু ক্ষেত্রে ,আর কেউ যদি স্পেসসুট ছাড়া খোলা স্পেসে হাচি দিতে পারে তাহলে সেই হাচির সাথে নির্গত অনুজীব গুলো ক্রমাগত ছড়িয়ে যেতে থাকবে এবং হাচির সম্মুখ বেগের কারনে সেই ব্যাক্তি পেছনের দিকে যেতে থাকবে,এরকমটা কখনো না ঘটলেও স্পেস স্টেশনের ভেতরে নভোচারীরা স্বাভাবিক অবস্থায়ই থাকেন এবং মাঝেমধ্যে হাচিও দেন তারা। এক্ষেত্রেও তাদের হাচির সাথে বের হওয়া জীবানু সমস্ত স্পেস স্টেশনেই ছড়িয়ে যায় এবং সবশেষে ল্যাব সহ সকল জিনিসের গায়ে লেগে থাকে, এজন্যই সেখানে একজন অসুস্থ থাকলে সবার অসুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে, এ থেকে কিছুটা পরিত্রান পেতে নাসা আল্ট্রা মডার্ন ফিল্টার ব্যাবহার করে স্পেস স্টেশন কে জীবাণুমুক্ত রাখতে। তাছাড়া তারা স্টেশনের ভেতরে বায়ুপ্রবাহ এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যেন নভোচারীদের চলাচলে সুবিধা হয় এবং অনুজীব কম ছড়াতে পারে। তাছাড়া তারা সেখানে মাস্ক মুখে দিয়ে হাচি দেয়াসহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও ভাল ফল পায়নি হাচির অনুজীব আটকানোর জন্য। তাই নভোচারীদের যাওয়ার আগে ভালোভাবে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং ভ্যাক্সিনেট করা হয় যেন একজন অসুস্থ হলেও সবাই না হয়ে যায়।