Fahimuzzaman Fahim-
বিজ্ঞান কথাটা সাধারণত আমরা জীববিজ্ঞান ( Biological Science), পদার্থবিজ্ঞান( Physics), নৃতত্ত্ব বিজ্ঞান (Anthropology), ত্বক বিজ্ঞান( Dermatology) এগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু রসায়নবিজ্ঞান কথাটা খুব একটা শোনা যায় না।
রসায়ন বলতে আমরা বিজ্ঞানের সেই শাখাকে বলি যা কোন উপাদানের (Element) অনু, পরমানু, এবং আয়ন সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করে এবং কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলি কিভাবে তাদের বৈশিষ্ট্য বা চরিত্র বদল করে তা জানতে সাহায্য করে।
এখন আমরা যদি উপরের বিজ্ঞান গুলিকে তাদের বাংলা পরিভাষায় খুব সহজভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করি, তাহলে এভাবে বলা যায় যে: পদার্থ বিজ্ঞান- পদার্থ নিয়ে গবেষণা করে, নৃতত্ত্ব বিজ্ঞান- মানুষের জন্ম তত্ত্ব এর ইতিহাস নিয়ে, জীববিজ্ঞান- যেসব বস্তুর মধ্যে প্রাণ আছে সেগুলো নিয়ে গঠিত বিজ্ঞান। কিন্তু রসায়ন বিষয়টি এই সমস্ত বিজ্ঞানের অভ্যন্তরস্থ অনু- পরমানু, তাদের চরিত্র- বৈশিষ্ট্য, পরিবর্তন, গতি- প্রকৃতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে অর্থাৎ সমস্ত বিজ্ঞানের মধ্যেই রসায়ন ব্যাপারটা থেকেই থাকে। রসায়ন ছাড়া কোনো বিজ্ঞানই বোধ হয় স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সেজন্য আমার মনে হয় যে রসায়ন এর সাথে বিজ্ঞান কথাটি না লিখলেও চলে। রসায়ন শব্দটি নিজেই নিজের অর্থ বহন করতে সক্ষম।
এছাড়া দ্বিতীয় যুক্তি যেটি আমার মনে হয়, রসায়ন শব্দটি যেকোনো সম্পর্কের (Relationship) ক্ষেত্রে খুবই পরিচিত শব্দ। সুতরাং রসায়ন শব্দটি একটি অস্পর্শ যোগ্য (Intangible) অর্থাৎ এটিকে আমরা স্পর্শ করতে পারি না। এটা ভেতরের (ইনার ভিশন) ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে গঠিত। তাই জন্য হতে পারে রসায়নের সাথে বিজ্ঞান কথাটি লেখা হয়না।
©নরেন্দ্র নাথ