বিড়াল সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট রোগ ছড়াতে পারে, তবে আপনি যে রোগগুলোর কথা বলেছেন সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিড়াল দ্বারা ছড়ানোর সম্ভাবনা কম। চলুন দেখি:
ক. ডিপথেরিয়া: এটি মানুষের একটি ব্যাকটেরিয়াল রোগ, যা সাধারণত ক্লোসট্রিডিয়াম ডিপথেরিয় দ্বারা হয়। বিড়াল থেকে মানুষে এর সংক্রমণ খুবই বিরল, যদিও কিছু ব্যাকটেরিয়া এমন হতে পারে যা অন্য প্রজাতির মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
খ. হুপিং কাশি (Whooping Cough): এটি বর্ডেটেলা নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটে। বিড়াল থেকে মানুষে হুপিং কাশি ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, কিছু প্রজাতির প্রাণী (যেমন কুকুর) এটি অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ছড়াতে পারে, কিন্তু বিড়াল এর উৎস নয়।
গ. ধনুষ্টংকার (Rabies): এটি একটি ভাইরাল রোগ এবং বিড়াল দ্বারা মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। যদি বিড়ালটি র্যাবিস আক্রান্ত হয়, তবে এটি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ র্যাবিস থেকে মৃত্যু হতে পারে।
ঘ. ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস একটি রোগ যা মানুষের এবং কিছু প্রাণীর মধ্যে (যেমন বিড়াল) হতে পারে, কিন্তু এটি সাধারণত সংক্রামক নয়। এটি সাধারণত জীবনযাত্রার অভ্যাস, খাদ্য, এবং বংশগত কারণের উপর নির্ভর করে।
সুতরাং, বিড়াল দ্বারা ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, বা ডায়াবেটিস ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। তবে, র্যাবিস (ধনুষ্টংকার) একটি রোগ যা বিড়াল থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে, তবে এটি বিরল।