সোজা-সাপ্টা ভাবে যদি আপনার প্রশ্নের উত্তর হয় তাহলে সেটা হবে ‘হ্যাঁ’, ভবিষ্যতে যদি সত্যিই পৃথিবীর বাইরে কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় আর বিশেষ করে যদি তারা বুদ্ধিমান হয় তাহলে “মানবজাতি” শব্দটার অর্থ এবং ব্যবহার নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হতে পারে।
মানবজাতির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapiens যার অর্থ দাঁড়ায় বুদ্ধিমান বা বিবেকসম্পন্ন মানুষ। যদিওবা এখনো এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় নি কিন্তু এখনো আমরা বিশ্বাস করি আমরাই এই ইউনিভার্সে সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী। কিন্তু যদি আমাদের ইউনিভার্সে কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান মিলে তাহলে সর্বপ্রথম আমাদের এই ধারণা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তখন এটা বিচার করতে হবে যে আমরা তাদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান নাকি তারা বেশি বুদ্ধিমান, তারা কত এগিয়ে আর আমরা কত এগিয়ে, তাদের চিন্তা-ধারা কিরকম আর আমাদের চিন্তা-ধারা কিরকম, এই মহাবিশ্বে আমাদের স্থান কোথায় আর তাদের কোথায়, তারা আমাদের কিভাবে ট্রিট করবে আর আমরা তাদের কিভাবে ট্রিট করবো ইত্যাদি।
এসব কিছু বিচার-বিবেচনা করে তখন মানবজাতির এই ধারণাটি আসলেই ঠিক কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে। তখনই মূলত মানবজাতির আসল সঙ্গা নির্ধারণ নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন উঠবে। আসলে মানুষ বা মানবজাতি হতে হলে একটি প্রাণীর কি কি বৈশিষ্ঠ্য থাকতে হবে তখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। শুধু বুদ্ধিমান আর বিবেকসম্পন্ন হলেই মানুষ হিসেবে সঙ্গায়িত করা হবে নাকি আরও কোনো বৈশিষ্ঠ্য থাকা প্রয়োজন তখন এটা নিয়ে কট্রোভার্সি হতেই পারে। তাই বলাই যায়, ভবিষ্যতে যদি পৃথিবীর বাইরের প্রাণী খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে মানবজাতি শব্দটার মানে নতুন করে ভাবতে হতে পারে।
For Fun :
পৃথিবীর মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens হলে পৃথিবীর বাহিরের মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হতে পারে Homo cosmicus.
বিস্তারিতঃ
https://newspaceeconomy.ca/2023/09/02/what-might-be-the-cultural-and-societal-implications-of-extraterrestrial-life/