যদি একটি শুক্রাণুই নিষেক করবে তবে কোটি কোটি শুক্রাণুর কী প্রয়োজন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,038 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (4,460 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,460 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

স্বাভাবিক ভাবে একটি ডিম্বাণুর সাথে মাত্র একটি শুক্রাণু নিষিক্ত হলেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সঙ্গমের পর প্রায় ৩০০ মিলিয়ন শুক্রাণু রিলিজ করে। একটি ডিম্বাণুর বিপরীতে এত বেশি পরিমাণে শুক্রাণু তৈরি এবং ত্যাগের পেছনে নিন্মলিখিত কারণ গুলো থাকতে পারে। 

প্রতিবন্ধকতা: ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছানো শুক্রাণুর জন্য একটি দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জিং যাত্রা।  তারা সার্ভিকাল শ্লেষ্মা এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের আস্তরণের মতো বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়।  এছাড়াও যৌনি পথ অম্লীয় হওয়ার কারণে পথেই প্রচুর পরিমাণ শুক্রাণু মারা যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাতেগোনা কয়েকটি শুক্রাণু পাঠালে ডিম্বাণু পর্যন্ত তাদের পৌঁছানোর সম্ভাবনা একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। কিন্তু অগণিত শুক্রাণু প্রতিটি একে অপরের ব্যাকআপ - বিকল্প হিসেবে কাজ করে। একটির কিছু হলে অন্য একটি থাকে। এতে নিষেকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 

যোগ্য শুক্রাণু নির্বাচন: সমস্ত শুক্রাণু সমানভাবে তৈরি হয় না।  কিছু  বিকৃত হতে পারে। যেমন, 

  • লেজ না থাকা।
  • দুইটি লেজ বা দুটি মাথা থাকা। আবার;
  • লেজ অথবা মাথা না থাকা। কিংবা;
  • ডিমে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমের অভাব।

বৃহৎ সংখ্যক শুক্রাণুর উপস্থিত সবচেয়ে শক্তিশালী এবং স্বাস্থবান শুক্রাণুটিকে বেছে নেয়া সহজ হয় ডিম্বাণুর জন্য। একটি সফল নিষিক্তকরণ সুস্থ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। 

পথিমধ্যে অগণিত শুক্রাণু হারিয়ে গেলেও একটি বড় সংখ্যা ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এদের মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী, সুস্থ এবং নিখুঁত শুক্রাণুটিকেই ডিম্বাণু নিষেকের জন্য নির্বাচিত করে। শুক্রাণুর এই বিশাল সংখ্যা থাকা মনে ডিম্বাণুর জন্য অসংখ্য অপশন বা বিকল্প থাকা। ফলস্বরূপ সে সেরাটাই খুঁজে নিতে পারে। 

বিবর্তনীয় উত্তরাধিকার: আমাদের পূর্বপুরুষরা পুষ্টিহীনতা সহ ভিন্ন রোগ-শোকে ভোগতো। ফলস্বরূপ তাদের শুক্রাণুও খুব নিখুঁত হতো না৷ অন্যদিকে, সুস্থ এবং শক্তিশালী প্রজন্ম পেতে হলে সুস্থ এবং শক্তিশালী শুক্রাণুর-ই প্রয়োজন। বিধায়, এই কঠিন পরিস্থিতিতে সফল প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য বিপুল সংখ্যক শুক্রাণু রিলিজ করাটা গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে। 

- নাহিদ জাহান ভূঁইয়া | Student Executive : Science Bee.

 

+1 টি ভোট
করেছেন (610 পয়েন্ট)
খালি চোখে যে বীর্যকে দেখা যায়, তা আসলে কোটি কোটি শুক্রাণুর সমষ্টি। একবার বীর্যপাতে প্রায় ৪ থেকে ১২০ কোটি শুক্রাণু বেরিয়ে যায়। এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর মধ্যে, নিষেকের জন্য একটিই যথেষ্ট। একটি শুক্রাণু ও একটি ডিম্বাণুর মিলনে একটি ভ্রূণের জন্ম হয়। মিলনের সময় মাত্র কয়েকফোঁটা বীর্য, যোনিতে ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারলে, তার ফলেও গর্ভধারণ হওয়া সম্ভব।
 

 ! ! ! প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে এতো পরিমাণ বীর্যের কী প্রয়োজন ? কম্পিটিশন ! মাই ডিয়ার বন্ধু, কম্পিটিশন !! এক্ষেত্রেও প্রকৃতি যোগ্যতমের উদ্বর্তনের নিয়মটি কাজে লাগায়। যোনিতে বীর্যপাতের পর একটি শুক্রাণুকে বেশকিছুটা পথ, অনেক বাধা পেরিয়ে ডিম্বাশয়ের কাছে পৌঁছাতে হয়। একটি শুক্রাণুর ডিম্বাশয় পর্যন্ত পৌঁছাতে আধঘন্টা থেকে শুরু করে একদিন পর্যন্ত সময় লাগে। ! ! !

কটি ডিম্বাণুর নিষেকের জন্য যেহেতু একটি শুক্রাণুর প্রয়োজন হয় অর্থাৎ পুরুষের একটি শুক্রাণু ও নারীর এক ডিম্বাণুর মিলনে সন্তান হলে, পুরুষের এতো বেশি পরিমাণে শুক্রাণু নির্গত হওয়ার কারণ কী?

তিন শব্দে এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- শুক্রাণুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। উর্বর ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছাতে শুক্রাণুগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতায় যে শুক্রাণুটি ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছাতে পারে সেটিই নিষেকে অংশ নেয়, অন্য গুলো নয়।

 

এ ধরনের প্রতিযোগিতা যেকোনো প্রাণী প্রজাতির পুরুষের জন্য তাদের সৃষ্টির ক্রমবিকাশ ঘটিয়ে থাকে। একটি শুক্রাণু যদি একটি ডিম্বাণুর নিষেক ঘটিয়ে ফেলে তাহলে অন্য একটি শুক্রাণুর জিনগত ক্রমবিকাশ সেখানেই সমাপ্ত হয়ে যাবে।

যুগের পর যুগ ধরে সুস্থ এবং সবল শুক্রাণু উৎপাদনকারী প্রজাতি দুনিয়ায় টিকে আছে এবং অন্যদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া ক্ষুদ্র শুক্রাণু উৎপাদনকারী জিনধারী প্রজাতি শক্তিশালী শুক্রাণু উৎপাদনকারী জিনের প্রাণীদের সাথে শেষমেশ পেরে ওঠে না এবং এভাবেই চলছে সৃষ্টির ক্রমবিকাশ।

এখন কথা হচ্ছে, ব্যাপারটা যদি বেশি শুক্রাণু উৎপাদনের হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির প্রাণীর তুলনামূলকভাবে বড় আকারের অন্ডকোষ থাকা উচিত। শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো শুক্রাণুর সুস্থ্ এবং শক্তিশালী হওয়া। একটি ডিম্বাণুর নিষেক ঘটানোর জন্য বেশি পরিমাণে শুক্রাণু উৎপাদনের দরকার হয় না বরং শুক্রাণু ডিম্বাণুর কতটা নিকটে পৌঁছাতে পারে সেটার উপরে নিষেক নির্ভর করে।১৯৮০ সালে ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, মানুষসহ সকল স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রাণীর শারীরিক গঠনের জন্য শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ এবং শুক্রাণুর সুস্থতা দুইটিই গুরুত্বপূর্ণ।গঠনগত দিক থেকে মানুষের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন স্তন্যপায়ী প্রাণী বা প্রাইমেট প্রজাতির মধ্যে, একজন প্রভাবশালী পুরুষ একাধারে সমাজের সকল নারীর সাথে যৌনমিলনে লিপ্ত হয় যার ফলে শুক্রাণু উৎপাদনকারী থলিগুলো ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 196 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 626 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 517 বার দেখা হয়েছে
26 ডিসেম্বর 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 376 বার দেখা হয়েছে

10,777 টি প্রশ্ন

18,480 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

384,250 জন সদস্য

52 জন অনলাইনে রয়েছে
9 জন সদস্য এবং 43 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. ouncemiddle38

    100 পয়েন্ট

  2. climbvault4

    100 পয়েন্ট

  3. zephyralley62

    100 পয়েন্ট

  4. bandsauce38

    100 পয়েন্ট

  5. menpyjama4

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন বাংলাদেশ ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন
...