কৃত্রিম পলিমার বা প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকলের কাছে একটি সু পরিচিত বস্তু।প্লাস্টিক কৃত্রিমভাবে তৈরি একটি পলিমার। এটি জীবাশ্ম জ্বালানি বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে রাসায়নিক উপায়ে তৈরি করা হয়।যেটা কিনা শক্ত,হালকা,সস্তা এমনকি যেকোন পছন্দসই রঙের পাওয়া যায়।প্রাকৃতিকভাবে অনেক পলিমার উৎপন্ন হয়। যেমন, উদ্ভিদের সেলুলোজ ও স্টার্চ দুটোই প্রাকৃতিক পলিমার, যা বহুসংখ্যক গ্লুকোজ অণু থেকে তৈরি হয়। প্রোটিন অ্যামাইনো এসিডের পলিমার। রাবার গাছের কষ একটি প্রাকৃতিক পলিমার। আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও টাঙ্গাইল জেলায় রাবার চাষ হচ্ছে। অনেকেই রয়েছে যারা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক অংশগুলো গলিয়ে নানা কিছু তৈরি করার চেষ্টা করে।তবে এই জিনিসগুলো পোড়ালে বা গলানো হলে অনেক রকম বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়।যা আমাদের দেহের এবং প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
নিচে বিভিন্ন ধরনের পলিমার,তার ধর্ম ও ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:-
১) পলিথিন (CH2=CH2) এটিকে ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিক ব্যাগ ও শিট হিসেবে।এর ধর্ম হচ্ছে সহজে কাটা যায় না এবং টেকসই হয়ে থাকে।
২)পলিপ্রোপিন (CH2=CH-CH3) এটিকে ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিকের রশি ও বোতল হিসেবে।এরও ধর্ম হচ্ছে সহজে কাটা যায় না এবং টেকসই হয়ে থাকে।
৩)পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC) (CH2=CHCL) এটা সাধারণত পানির পাইপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।এর ধর্ম হচ্ছে এটি শক্ত,কঠিন এবং পলিথিনের তুলনায় কম নমনীয় এবং এটি একটি বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ।
৪)নাইলন 6:6 (HOOC (CH2)4 COOH ও H2N-(CH2)6-NH2) কৃত্রিম কাপড়,রশি ও দাঁতের ব্রাশ হিসেবে এটা ব্যবহৃত হয়।এটি চকচকে, টেকসই ও নমনীয় হয়ে থাকে।
প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য ছাড়া আধুনিক জীবন অচল।প্লাস্টিকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ দূষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।প্লাস্টিক বর্জ্য মাইক্রো ও ন্যানো কণার ক্ষতিকর পদার্থ মানবদেহে থাকা হরমোনজনিত পরিবেশ পরিবর্তন করে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি ব্যাহত করতে পারে। স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের নানা রোগের কারণ হতে পারে।
তাই,পলিথিনের পরিবর্তে কাগজ, পাট বা প্রাকৃতিক তন্তুর তৈরি ব্যাগ ব্যবহার উৎসাহিত করতে হবে, প্রয়োজনে পলিথিনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যেতে পারে।
Shah Sultan Nur
Source : 10 Minute School,The Daily Star,BYJU'S