ভুমিকম্পের ফলে পানি কি সত্যিই সোনায় পরিণত হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
8,845 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
লাইভ সায়েন্স ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পের প্রভাবে পানি সোনায় পরিণত হয়। আর পৃথিবীর মোট স্বর্ণভাণ্ডারের ৮০ শতাংশ এভাবেই সৃষ্টি।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ভূপদার্থবিদ অধ্যাপক ডিওন ওয়েদারলি ভূমিকম্পে পানির সোনায় পরিণত হওয়া নিয়ে একটি মডেল বানিয়েছেন। সেই মডেলে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ভূমিকম্পের তীব্র কম্পনে পাথর ও ধাতু চাপে-তাপে সোনায় রূপান্তরিত হয়।

গত বছরের নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে এই মডেল নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে ডিওন ওয়েদারলি জানান, ভূমিকম্পের ফলে পানির সোনায় পরিণত হওয়া একটি প্রাকৃতিক উপায়। তবে পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে পানিকে সোনায় রূপান্তর সম্ভব হলেও স্বাভাবিক ভূমিকম্পে ভূপৃষ্ঠের ওপর এই সোনা সৃষ্টি সম্ভব নয়।

ডিওন ওয়েদারলি এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন তার পানি থেকে সোনা তৈরির বিশেষ মডেলের সাহায্যে। সেখানে দেখানো হয়, ভূমিকম্পে কীভাবে সাগরতলায় বড় ধরনের চ্যুতির সৃষ্টি হয়। এই চ্যুতির ফলে সৃষ্ট বড় ফাটল সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে ভরে যায়। এই ফাটলগুলো যত বড় হয়, ততই এটি ভূ-অভ্যন্তরের লাভার কাছাকাছি পৌঁছায়। আর অতি উচ্চ তাপমাত্রার লাভায় থাকা সিলিকা, কার্বন ডাইঅক্সাইড, খনিজ স্ফটিক পানির অক্সিজেনের সংমিশ্রণে এসে সোনা উৎপন্ন করে।

অধ্যাপক ডিওন ওয়েদারলি আরো জানান, পুরো বিষয়টি যত সহজে বলে ফেলা যায়, আদতে বিষয়টি তত সহজ নয়। তাই শত বছর পর কোনো একটি বিশেষ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রকৃতিতে বিপুল পরিমাণ সোনা উৎপন্ন হয়।

সূত্র: এনটিভি অনলাইন
+3 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
Abrar Islam Ador - জ্বী, এ সময় পানি সত্যিই সোনায় পরিণত হয়।

অস্ট্রেলিয়ান একদল গবেষক দেখতে পেয়েছে যে ভূমিকম্পের ফলে একটি তরল-ভরা শিলা ফ্র্যাকার প্রশস্ত হয়ে যখন চাপ কমে যায় তখন তার ফলস্বরূপ তরল পদার্থে দ্রুবীভুত স্বর্ণ হয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসে।

নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত তাদের গবেষণায় তারা লিখেছেন, এই প্রক্রিয়াটিতে অর্থাৎ ভূমিকম্পের ফলে পাওয়া স্বর্ণ বিশ্বের সোনার আমানতের ৮০% পর্যন্ত গঠন করে থাকে। বিশ্বের সোনার বেশিরভাগ অংশ কোয়ার্টজ শিলাগুলিতে পাওয়া যায়। যা প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর আগে পর্বত তৈরির সময় উদয় হয়েছিল এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে পানি জমা ছিলো। সেখানেই পরবর্তীতে স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যায়। ভূমিকম্পের সময় শিলাগুলি চাপের ওঠানামায় গঠিত হয়েছিল, তবে এখন অবধি কীভাবে সেই পানিতে সোনার গঠন হয়ছিল তা অজানা।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ ডিওন ওয়েদারলি এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রিচার্ড হেনলি একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন। সেই মডেলে তারা দেখিয়েছেন বিভিন্ন ভূমিকম্পের মাত্রা কীভাবে তরল ভরা শিলা ভাঙ্গনে প্রভাব ফেলে। তারা দেখতে পায় যে ফ্র্যাকচারে চাপে হঠাৎ হ্রাসের ফলে তরলটির ভিতরেই তরল প্রসারণ এবং বাষ্প হয়ে যায় - এটি একটি প্রক্রিয়া যা ফ্ল্যাশ বাষ্পীকরণ হিসাবে পরিচিত। ওয়েদারলে ব্যাখ্যা করেছেন, "ফ্র্যাকচারের আয়তন পরিবর্তনের ফলে তরল চাপে পরিবর্তন দেখা দেয়।" "তরল নিম্নচাপগুলিতে অতিশৃক্ত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন খনিজগুলি যেগুলি দ্রবীভূত হয় তা খুব দ্রুত বেড়িয়ে আসে।"

সোর্সঃ https://www.livescience.com/27953-earthquakes-make-gold.html
করেছেন (100 পয়েন্ট)
মাটি খুঁড়ে পানি রেখে ভূমিকম্প করালে হবে
করেছেন (100 পয়েন্ট)
না‍♀‍♀‍♀
+2 টি ভোট
করেছেন (24,580 পয়েন্ট)
জি পানি সত্যিই সোনাতে পরিণত হয়
করেছেন (1,390 পয়েন্ট)
ব্যাখ্যা ?
0 টি ভোট
করেছেন (14,110 পয়েন্ট)

দুর্ভাগ্যক্রমে, জল সোনায় রূপান্তরিত হয় না । সংঘটিত ঘটনাগুলির আরও সঠিক বর্ণনা হল যে ভূমিকম্পের সময় সোনা খনিজ সমৃদ্ধ জল থেকে আলাদা হয় এবং পরে যে পাথরগুলিতে এটি জমা হয়েছিল তা থেকে শিল্পভাবে উত্তোলন করা যেতে পারে।

সম্প্রতি ওয়েদারলি এবং হেনলির একটি গবেষণায় এই বিষয়টি বিস্তৃত করা হয়েছে. তারা কৌতূহলী ছিল যে কীভাবে স্বর্ণ কম প্রাচুর্য থেকে কোয়ার্টজে পাতলা শিরা তৈরি করতে ঘনীভূত হয়েছিল। কক্স এবং রুমিংভূমিকম্প চক্রের কারণে তরল চাপের পরিবর্তনের সাথে এই শিরাগুলির গঠন ইতিমধ্যেই যুক্ত ছিল কিন্তু একটি যান্ত্রিক বোঝাপড়া বা পরিমাণগত অনুভূতির অভাব ছিল। নতুন গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে ভূমিকম্পের কারণে ফল্ট লাইন বরাবর গহ্বরের আকস্মিক গঠন চাপের একটি বড় হ্রাসের দিকে পরিচালিত করে। এর অর্থ হল জল বাষ্পীভূত ( ফ্ল্যাশ বাষ্পীকরণ) এবং পাতলা শিরা আকারে কোয়ার্টজের সাথে জমা হওয়া সোনা আর ধরে রাখতে পারেনি । পার্শ্ববর্তী গহ্বর থেকে প্রবাহিত পার্শ্ববর্তী তরলগুলির কারণে চাপ পুনরায় বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি অব্যাহত ছিল।

আশ্চর্যজনকভাবে, এমনকি ছোট ভূমিকম্প যা রিখটার স্কেলে -2 পরিমাপ করে (উল্লেখ্য যে এটি একটি লগারিদমিক স্কেল!) তরল চাপে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেহেতু এই ঘটনাগুলি সর্বদা ঘটে থাকে, তাই ভূমিকম্পগুলিকে শিল্প-গ্রেড সোনার আমানতের উৎসের এজেন্ট হিসাবে বিশ্বাস করা হয় ।

সূত্র: কোরা

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 8,430 বার দেখা হয়েছে
08 অগাস্ট 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Annoy Debnath (2,910 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 122 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 286 বার দেখা হয়েছে
27 অক্টোবর 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
1 উত্তর 453 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 116 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,914 জন সদস্য

100 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 99 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. StanleyFinck

    100 পয়েন্ট

  2. RustyBpv6011

    100 পয়েন্ট

  3. Russel76G989

    100 পয়েন্ট

  4. Zita54466474

    100 পয়েন্ট

  5. Kendrick3252

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...