ব্যথার প্রতিক্রিয়া জটিল এবং বিভিন্ন কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। ব্যথার সময় চিৎকার করা একটি কারণ যা ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
চিৎকার করার ফলে ব্যথা কম অনুভূত হওয়ার তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে:
চিৎকার করার ফলে ব্যথা কম অনুভূত হয় এমন কিছু গবেষণা রয়েছে:
- ২০১২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যথার সময় চিৎকার করলে ব্যথার তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাতের আঘাতের পরে চিৎকার করতে বা চিৎকার না করতে বলা হয়েছিল। চিৎকার করা দলের সদস্যদের ব্যথার তীব্রতা কম ছিল এবং তারা ব্যথার প্রতিক্রিয়া কম প্রকাশ করেছিল।
- ২০১৫ সালের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যথার সময় চিৎকার করলে ব্যথার প্রতিক্রিয়া কমে যায় এবং ব্যথা সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাতের আঘাতের পরে চিৎকার করতে বা চিৎকার না করতে বলা হয়েছিল। চিৎকার করা দলের সদস্যরা ব্যথার প্রতি আরও ভালভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল এবং তারা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা সহ্য করতে সক্ষম হয়েছিল।
তবে, চিৎকার করার ফলে ব্যথা কম অনুভূত হয় এমন সব গবেষণায় একমত নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিৎকার করার ফলে ব্যথার তীব্রতায় কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না।
সামগ্রিকভাবে, ব্যথা পাওয়ার সময় চিৎকার করলে ব্যথা তুলনামূলক কম অনুভূত হয় এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে। তবে, এই প্রভাব সব ক্ষেত্রে একই রকম হয় না।
চিৎকার করার ফলে ব্যথা কম অনুভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় না। তবে, উপরে উল্লিখিত কারণগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।