Warman Hasbi-
তাপ ও তাপমাত্রা এক জিনিস নয়,আমরা গরম অনুভব করি তাপের উপস্থিতির জন্য এবং ঠান্ডা অনুভব করি তাপের অনুপস্থিতির জন্য।তাপ হচ্ছে এক প্রকার শক্তি যা অনুর গতির ফলে সৃষ্টি হয়,যেহেতু শক্তির রূপ পরিবর্তন হয় তাই অন্য শক্তিও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে।অন্যদিকে তাপমাত্রা হচ্ছে কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থা।তাপের একক জুল অন্যদিকে তাপমাত্রার একক কেলভিন/সেলসিয়াস/ফারেনহাইট।তাপমাত্রা এক হলেও তাপ ভিন্ন হতে পারে যেমন দুইটি পানির পাত্র ১০০°C তাপমাত্রার করা হল, একটি পাত্রে আছে ২ লিটার পানি অন্যটিতে আছে ১ লিটার পানি,এক্ষেত্রে দুটির তাপশক্তি কিন্ত সমান না ২য় টায় তাপশক্তি অর্ধেক প্রথমটার থেকে,যদিও তাপমাত্রা সমান।
থার্মোস্ফেয়ার পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের শেষের দিকের স্তর তাই সূর্যের আলো এবং রেডিয়েশন সেখানেই বেশি পড়ে যা পরে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন অনুতে গিয়ে তাপশক্তির রূপ নেয়।তাই সেখানে সেই তাপশক্তির কারণে তাপমাত্রা অনেক বেশি।কিন্তু সেখানে বায়ুর ঘনত্ব অনেক কম থাকায় বায়ুর অণুগুলো পরস্পরের সাথে কম সংঘর্ষ হয় এবং অনু চলাচলের গতিও কম,তাই সেখানে তাপ ও কম থাকে।আমরা তাপ এর উপস্থিতি অনুভব করলেই গরম লাগে যা মূলত সেখানে কম ই,তাই ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী বায়ুর এবং বহিস্থ অল্প ঘনত্বের বায়ুর তাপমাত্রা এক হলেও তাপ ভিন্ন হবে।
একই তাপমাত্রার রুমে বসে একই তাপমাত্রার পানিতে হাত রাখলে আপনার কাছে পানিকে ঠান্ডা মনে হবে,এক্ষেত্রে রুম এবং পানি উভয় এর তাপমাত্রা আপনার শরীরের থেকে কম, তাপের ধর্মই হচ্ছে অধিক থেকে কমের দিকে গিয়ে সমতার চেস্টা করবে।বেশি তাপের সংস্পর্শে গেলে আপনার শরীর গরম হওয়া শুরু করে কারণ তখন শরীর তাপ শোষন করতে থাকে।পানির ঘনত্ব বাতাসের থেকে প্রায় ৭০০ গুণ বেশি,যখন শরীর ৪০°C তাপমাত্রার বাতসের সংস্পর্শে যাবে সেই বাতাস থেকে তাপ শোষন করতে থাকবে ফলে গরম লাগবে কিন্তু ৪০°C পানির সংস্পর্শে গেলে বুঝার সুবিধায় ভাবুন যখন বাতাসের একটি অণুর থেকে তাপ শোষন করবে ঠিক সেই সময়ে বাতসের বদল পানি হলে ৭০০ টি অণু থেকে তাপ গ্রহণ করবে তাই তাপমাত্রা এক হলেও গরম অনেক বেশি লাগবে।ঠিক এমনি পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ বায়ুর থেকে শেষ স্তরের বায়ুর ঘনত্ব অনেক কম তাই সেখানে তাপের আদান-প্রদান ও অনেক কম হয় এবং তাপ অনুভব ও অনেক কম হবে।
থার্মোস্ফেয়ারে বাতসের ঘনত্ব এত কম হবার কারণ গ্রাভিটির প্রভাব অনেক কম,এই স্তরেই স্যাটেলাট চলাচল করে যা মাইক্রোগ্রাভিটি ধরা হয়।