নিট্রনের প্রয়োজনীয়তা কি ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
231 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (5,060 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,060 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
নিউট্রনের অপার মহিমা----------------

ছোটবেলায় যখন পরমানু চিনতে শুরু করেছি ঠিক তখন থেকে ভাবতাম

"প্রোটন ও ইলেকট্রনের তো চার্জ আছে কিন্তু নিউট্রনের ত কোনো চার্জ নেই । এরপরও এটি কেন দরকার ? এটি না থাকলে কি হত ?মনে হত এটি ত অকেজো। "

এসব বিষয় মাথায় সব সময় ঘুরপাক খেত ।তাই আজকের এই বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করবো । আশা করি যাদের মনে এই প্রশ্নটা ঘুরে তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। তাহলে শুরু করা জাক ।

আমরা জানি পরমানুতে ইলেকট্রন , প্রোটন , নিউট্রন থাকে । এছাড়া এতে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী মূল কনিকা থাকে । যেমন ঃ মেসন , পাইওন ইত্যাদি ।

একটি পরমানুর স্থায়ীত্ব নির্ভর করে সবল নিউক্লিয় বল ও তড়িৎ কুলম্ব বলের উপর । সবল নিউক্লিয় বল যদি কুলম্ব বলের চেয়ে বেশি হয় তবেই পরমানু স্থায়ী হয় ।

পরমানুতে ইলেক্ট্রনকে আবদ্ধ রাখতে দরকার হয় তড়িৎ কুলম্ব বলের ।আর এই কুলম্ব বলের জোগান দেয় হল প্রোটন ।

তাই মনে হতে নিউট্রন ছাড়াই পরমানু তৈরি করা যাবে । কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয় । কারন নিউক্লিয়াসে যে প্রোটন থাকে তার চার্জ ধনাত্বক । বেশি পরিমান প্রোটন একত্রে রাখলে এরা সমধর্মী হওয়ার কারনে একে অপরকে বিকর্ষণ করবে । যার ফলে পরমানুর নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে যাবে।

তাই পরমানুর নিউক্লিয়াসে অধিক সংখ্যক পরমানুকে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন আলাদা কোনো বল । এই বলই হল সবল নিউক্লিয় বল ।

যার ফলে প্রোটনগুলি একত্রে থাকতে পারে। এই বল তৈরি হয় নিউক্লিয়াসে থাকা কনিকাগুলির ফলে । গ্লুওন ও মেসন কনার আদান প্রদানের ফলে তৈরি হয় মহাবিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী বল । যার নাম সবল নিউক্লিয় বল ।

তাহলে বুঝা জাচ্ছে প্রোটনের কাজ হল ২ টি । একটি হল কুলম্ব বলের প্রভাবে বিকর্ষণ ও অন্যটি হল সবল নিউক্লিয় বলের যোগান দেওয়া ।

প্রোটনের সংখ্যা বাড়লে কুলম্ব বল বাড়ে কিন্তু সবল নিউক্লিয় বলের মান কমতে থাকে । কারন সবল নিউক্লিয় বলের রেঞ্জ খুবই সামান্য। ফলে এক সময় নিউক্লিয়াসের ভাঙ্গন দেখা যায় । এখন প্রোটনের পাশাপাশি যদি নিউট্রনও থাকে তবে নিউক্লিয়াসে চার্জের বৃদ্ধি হবে না ।কারন নিউট্রনের চার্জ শূন্য । কিন্তু নিউট্রনের আছে গ্লুওন । যার ফলে নিউট্রনের উপস্থিতিতে সবল নিউক্লিয় বলের যোগান বাড়ে । ফলে পরমানু স্থায়ী হয়।এতে অনেকেই মনে করতে পারেন নিউট্রন আর প্রোটন ইচ্ছা মত বাড়ালেই পরমানু স্থায়ী হবে । কিন্তু এরকম হবে না । কারন একসময় কুলম্ব বল এতোই বেড়ে যায় যে সবল নিউক্লিয় বল তাকে অতিক্রম করতে পারে না ।

অনেকে বলতে পারেন দুরত্ব বাড়লে ত কুলম্ব বল কমার কথা । কিন্তু তা হয় না কারন দুরত্বের সাথে সাথে চার্জও বাড়ছে । আর সবল নিউক্লিয় বল দুরত্ব বাড়ার সাথে সাথে অনেক বেশি পরিমানে কমে যায় । যদিও ধরে নেই কুলম্ব বল দুরত্ব বাড়ার সাথে সাথে কমে যায় । কিন্তু এই কমার পরিমান সবল নিউক্লিয় বল কমার তুলনায় খুবই কম। যার ফলে পরমানু তার স্থায়িত্ব হারায় ।এ জন্য দেখা যায় ৮৩ এর বেশি পারমানবিক সংখ্যা যুক্ত পরমানুগুলি তেজস্ক্রিয় হয় ও এরা ভেঙ্গে গিয়ে ছোট পরমানুতে পরিনত হয় ।

তাই বুঝা যায় পরমানু গঠনের জন্য নিউট্রনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে । আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি ।
0 টি ভোট
করেছেন (1,450 পয়েন্ট)
নিউট্রন হল প্রোটনের সাথে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে পাওয়া সাবএটমিক কণা। তারা পারমাণবিক এবং পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন পূরণ করে:

1. **পারমাণবিক স্থিতিশীলতা:** নিউট্রন পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা অতিরিক্ত শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি সরবরাহ করে যা প্রোটনকে নিউক্লিয়াসে একত্রে আবদ্ধ করতে সাহায্য করে। নিউট্রন ছাড়া, ইতিবাচক চার্জযুক্ত প্রোটনের মধ্যে ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক বিকর্ষণ পারমাণবিক নিউক্লিয়াসকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

2**আইসোটোপ গঠন:** পারমাণবিক নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা তার আইসোটোপ নির্ধারণ করে। একটি মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপে একই সংখ্যক প্রোটন থাকে কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। এই আইসোটোপগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার থাকতে পারে, যেমন পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন বা মেডিকেল ইমেজিং (যেমন, ইউরেনিয়াম এবং টেকনেটিয়ামের বিভিন্ন আইসোটোপ)।

3. **পারমাণবিক বিক্রিয়া:** নিউট্রন পারমাণবিক বিক্রিয়ায় জড়িত। তারা পারমাণবিক বিভাজন শুরু করতে পারে, যেখানে একটি নিউক্লিয়াস ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত হয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শক্তি নির্গত করে। এই প্রক্রিয়াটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ভিত্তি।

4**নিউট্রন স্ক্যাটারিং:** নিউট্রন বিচ্ছুরণের মতো কৌশলের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিউট্রন ব্যবহার করা হয়। নিউট্রন রশ্মিগুলিকে তাদের পারমাণবিক এবং আণবিক কাঠামো অধ্যয়ন করার জন্য পদার্থের দিকে নির্দেশিত করা যেতে পারে, যা পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের মতো ক্ষেত্রগুলি সহ পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে সহায়তা করে।

5**নিউট্রন অ্যাক্টিভেশন অ্যানালাইসিস:** নিউট্রন অ্যাক্টিভেশন অ্যানালাইসিসে স্থিতিশীল নিউক্লিয়াসকে তেজস্ক্রিয়গুলিতে সক্রিয় করতে নিউট্রন ব্যবহার করা হয়। এই কৌশলটি ফরেনসিক বিশ্লেষণ এবং প্রত্নতত্ত্বের মতো বিভিন্ন পদার্থের উপাদান সনাক্তকরণ এবং পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

6**নিউট্রন উত্স:** নিউট্রন বিভিন্ন উপায়ে উত্পাদিত হয়, যেমন পারমাণবিক চুল্লি, কণা ত্বরণকারী এবং প্রাকৃতিক উত্সগুলিতে (যেমন, মহাজাগতিক রশ্মি)। এই উত্সগুলি নিউট্রন থেরাপির মতো নিউট্রন থেরাপির মতো নিউট্রন ফিজিক্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এবং মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টে গবেষণা এবং প্রয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষেপে, নিউট্রন হল মৌলিক কণা যা পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের স্থায়িত্ব, বিভিন্ন পারমাণবিক প্রক্রিয়া, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং একাধিক ক্ষেত্রে ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি পারমাণবিক এবং পারমাণবিক স্তরে পদার্থের আচরণ বোঝার এবং পরিচালনা করার জন্য তাদের অপরিহার্য করে তোলে।
0 টি ভোট
করেছেন (4,270 পয়েন্ট)

নিট্রন একটি রাসায়নিক উপাদান যার প্রতীক N এবং পারমাণবিক সংখ্যা 7। এটি একটি অধাতু যা আণবিক ভর 14.00674 u সহ একটি গ্যাস। নিট্রন প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না, তবে এটি অন্যান্য উপাদানের সাথে যৌগ গঠন করে, যার মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাস (N2), নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), এবং অ্যামোনিয়া (NH3)।

নিট্রনের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। উদ্ভিদ নাইট্রোজেন থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন তৈরি করে। প্রাণী উদ্ভিদ থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।

নিট্রন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প রাসায়নিক। এটি নাইট্রোজেনের যৌগগুলি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় যা সার, বিস্ফোরক, এবং অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

নিট্রনের প্রয়োজনীয়তাগুলি নিম্নরূপ:

  • উদ্ভিদের জন্য: উদ্ভিদ নাইট্রোজেন থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন তৈরি করে। নাইট্রোজেন উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
  • প্রাণীর জন্য: প্রাণী উদ্ভিদ থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে। নাইট্রোজেন প্রাণীদের দেহে প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • শিল্পে: নাইট্রোজেন নাইট্রোজেনের যৌগগুলি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় যা সার, বিস্ফোরক, এবং অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

নিট্রনের অভাব হলে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বৃদ্ধি এবং বিকাশ ব্যাহত হয়।

নিট্রনের প্রয়োজনীয়তাগুলি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে দেখা যায়:

  • কৃষি: নাইট্রোজেন সার উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং ফলন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
  • শিল্প: নাইট্রোজেন বিস্ফোরক, সার, এবং অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • পরিবেশ: নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলে থেকে উদ্ভিদ এবং প্রাণী দ্বারা শোষিত হয়।

নিট্রন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান যা আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। ধন্যবাদ!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 785 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,548 বার দেখা হয়েছে
27 এপ্রিল 2023 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন sahidul (920 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,020 বার দেখা হয়েছে
27 এপ্রিল 2023 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন sahidul (920 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 195 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,501 জন সদস্য

111 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 109 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. gobetpw

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...