সিনিয়র আপুদের বলতে-- বায়োলজিক্যাল টার্মে আমরা এটাকে এডাল্ট পিরিয়ডে থাকা পুরুষের সাপেক্ষে বিপরীত লিঙ্গের সত্তাকে বুঝি।
বয়:সন্ধিকালে পৌঁছানোর পরে ছেলে এবং মেয়েদের উভয়েরই হরমোনাল রেগুলেশনের ফলাফলস্বরূপ একে অপরের প্রতি টান অনুভব করেন। এটাকে আমরা ন্যাচারাল ধরি। এই সময়ে পুরুষের যে টেস্টোস্টেরন হরমোন রিলিজ হয় এর ফলে তাদের মধ্যে মেলনেস(পুরুষালিভাব) ফুটে উঠে। পুরুষের মাইন্ডসেটে তার পার্টনার কেমন হবে এটা অরগানাইজ হতে থাকে। বয়সের সাথে সাথে পুরুষের কপুলেশন/কয়েটাস/ইন্টিমেট/সহবাসের প্রতি যে তার এট্রাকটিভ ন্যাচার -তা এমনভাবে অরগানাইজ হয় যাতে সে নিজেকে সবচেয়ে হ্যাপি ভাবে। সে তার মাইন্ডসেটকে ঐভাবেই অরগানাইজ করে। এবং তার পছন্দের তালিকায় নারীর রূপ, লাবন্য, আচরণ এবং দৈহিক কাঠামো প্রাধান্য পায়। এই অরগানাইজেনের পেছনে কিছু ফ্যাক্টর দায়ী
১- পার্টনার কেমন হবে তার কল্পনা
২- বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে একাধিক নারীর প্রতি তার অপছন্দের ও পছন্দের সামঞ্জস্যতা আনা।
৩-পর্ণোগ্রাফি( এটার ফলে পছন্দের তালিকায় বিরাট চ্যাঞ্জ আসতে পারে, সাইকোলজিক্যালি পার্টনার পছন্দের ক্ষেত্রে এবনরমাল কিছু আশা করা যেতে পারে)
৪-ন্যাচারাল ইন্সটিন্ক্ট (যেটা স্বভাবগতভাবেই আসে)
বয়সে বড় নারীদেরকে পুরুষের পছন্দ হয় বলতে বুঝায় তার মাইন্ডসেট এমনভাবে অরগানাইজ হয়েছে যেটা সে তার বয়সে বড় নারীদের মধ্যে দেখতে পেয়েছে। এই পছন্দের পেছনে কখনো একটা কারন দায়ী থাকতে পারেনা। অনেকগুলো ফ্যাক্টর এখানে জড়িত।
এখানে কিছু জিনিস জেনে রাখা ভালো যে, পুরুষ একাধিক নারীতে আসক্ত হওয়া এবং পুরুষের পরকীয়া তার সাথে সাথে পুরুষ বিবাহিত জীবনে আনহ্যাপি হওয়ার একটা বড় কারন হলো -পর্ণোগ্রাফি। নারী পুরুষের শারিরীক কাঠামো দেখার একটা বড় ব্যারিয়ার ছিল সম্মতি(সামাজিক সম্মতি যেটাকে বিয়ে বলি আমরা)। পর্নোগ্রাফি সেই ব্যারিয়ার ভেঙে দেয়। ফলে পুরুষের চোখে তার ইন্টিমেট দৃশ্যে একজনকে কল্পনায় রাখতে পারেনা। পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত পুরুষ নিজের স্ত্রীকে তখন এভেইলেবল মনে করে। অপর নারীদের নিয়ে একটা ইন্টিমেট/সেক্স ফ্যান্টাসিতে ভুগে। এই সেইম বিষয়টাও বয়সে বড় কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে পুরুষের মানসিকতা ট্রিগার হতে পারে।