পড়াশোনার ক্ষেত্রে একেকজন মানুষ তার ব্রেইনকে একেকভাবে ট্রেইন করে থাকে। কেউ কেউ কল্পনায় প্রতিটা জিনিসকে ভাবতে ভালোবাসে। এবং মনে রাখার চেষ্টা করে। কেউ কেউ আবার প্রতিটা বিষয়কে খুটিয়ে খুটিয়ে বারবার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পড়তে গেলে আপনাকে সর্বপ্রথম এটা ভাবতে হবে যে আপনি আসলে কী পড়তে যাচ্ছেন। কোন টপিক্সটা আপনি আয়ত্ত করতে যাচ্ছেন।
১. এ নিয়ে আপনার আগে একবার ভাবা উচিৎ এই টপিকের কী কী আপনি জানেন।
এরপর আপনার পড়ার অংশটুকু একবার মনোযোগ সহকারে রিডিং পড়ুন। পড়ার সময় সালগুলোকে আর ঘটনাগুলোকে খেয়াল রাখুন।
২. এবার আপনি খাতা কলম নিন। সালগুলোকে খুঁজে খুঁজে সিরিয়ালি খাতায় লিখুন।
৩. সালগুলোর পাশে ঘটনার মূল পয়েন্টটা লিখে রাখেন।
৪. এবার চেষ্টা করতে থাকেন একটার সাথে একটার রিলেশন কেমন। কোন ঘটনার পর কোন ঘটনা হয়েছে এটা আপনার চোখের সামনেই আছে। এবার খাতাটা সামনে রেখে বই পড়ুন। হিজিবিজি লাগবেনা।
যেসব জিনিস বইতে একটা বিষয়েরই হেডলাইন দিয়ে দিয়ে ব্যাখ্যা লিখা সেগুলার ক্ষেত্রে ক্লাসিফিকেশন যেভাবে করতে হয় সেভাবে আপনি ক্লাসিফিকেশন করে পড়তে পারেন। এটা মনে রাখার নিঞ্জা ট্যাকনিক। বইয়ে পড়া ক্লাসিফিকেশনের চেয়ে নিজে ক্লাসিফাই করে পড়লে মনে থাকবে।
৫. পড়ার বিকল্প নেই। আপনাকে হার্ডওয়ার্ক করতেই হবে মনে রাখতে গেলে। তবে হ্যাঁ আপনি স্মার্টলি হার্ডওয়ার্ক করলেই আসল গেইনার হবেন। বোরিং লাগবেনা। সবাই-তো পড়ে। কয়জন স্মার্টলি পড়ে?
Happy Reading!