বই পড়ার ভালো দিক কি কি?? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
917 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (260 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,150 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

বই পড়ার গুরুত্ব, উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা

যদি আপনি নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার প্রচুর উপকারীতা বা লাভ রয়েছে।

চলুন নিচে বই পড়ার ৮ টি প্রয়োজনীয়তা, উপকারীতা বা লাভ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

নিয়মিত বই পড়ার উপকারিতা গুলো – (সেরা ৮টি)

 

বইয়ের মাধ্যমে মানুষ যুগ যুগান্তরের জ্ঞান আনন্দকে ভবিষ্যতের জন্য রেখে যেতে পারে। বিশ্বের মহামূল্যবান গ্রন্থগুলো মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য সাধনার নির্বাক সাক্ষী।

১. বই মানুষের মনের কৌতূহল মেটায়

 

বৈচিত্র্যময় এ পৃথিবীর সব স্থানে লুকিয়ে আছে বিস্ময়। অজানা, অবারিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা দিতে পারে বই। বইয়ের মাধ্যমে মানুষ মুহূর্তে ছুটে যেতে পারে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

২. বই নিঃসঙ্গের সঙ্গী

 

নির্জন অরণ্যে কিংবা জনহীন দ্বীপে মানুষ থাকে নিঃসঙ্গ। কিন্তু যদি তার কাছে বই থাকে তাহলে তার মনের সমস্ত বেদনা দূর হয়ে যেতে পারে।

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিভূতিভূষণ, শেকসপিয়র, গ্যেটে, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলি, দস্তয়ভস্কি কিংবা গোর্কির লেখা বই যদি সাথে থাকে, তবে মানুষের হৃদয় মনের অনেক অভাব ঘুচে যায়।

৩. বই হলো অনাবিল আনন্দের উৎস

 

নানা ঘাত প্রতিঘাতে মানুষ কখনো কখনো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, ডুবে যায় হতাশায়। এ হতাশা ঘোচাতে পারে একটি ভালো বই। উৎকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। মানুষের উচ্চতর বৃত্তিগুলো চায় সত্য, জ্ঞান ও আনন্দের আলো জ্ঞান সাধনা ও শিল্প সাধনা মানুষকে প্রতিদিনের তুচ্ছতার সংসার থেকে তুলে নেয় এক উচ্চতর চিন্তার জগতে।

প্রতিদিনের ব্যস্ততা, হানাহানি ও সমস্যাক্লিস্ট জীবনের কর্কশতা ভুলিয়ে বই মনকে দেয় আনন্দ। সেইসাথে করে জ্ঞানের বিস্তার।

বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের মতে, সংসারের জ্বালা যন্ত্রণা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করা। তাঁর মতে, যে যত বেশি ভুবন তৈরি করতে পারে, যন্ত্রণা এড়াবার ক্ষমতা তার তত বেশি হয়। দুঃখ বেদনার মুহূর্তে, মানসিক অশান্তিতে ও দুর্বলতার সময়ে বই মানুষের মনে শাস্তি দেয় ও প্রেরণা জোগায়। বই মানুষকে দেয় নব নব প্রেরণা, উৎসাহ ও মানসিক প্রশান্তি।

৪. সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটায় বই

 

বই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে সেতু রচনা করে। বইয়ের সাহচর্যেই মানুষ এগিয়ে যায় অগ্রযাত্রার পথে। আমাদের বৃহত্তর জীবনের যাত্রাপথের সবচেয়ে বড়ো সঙ্গী হলো বই। শিল্পকলা ও সাহিত্য মানুষের মনকে অনাবিল আনন্দ দেয়।

জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষের প্রয়োজনের ফসল। আর জগৎ রহস্যের উৎস সন্ধানে আমরা পেয়েছি জীবনের নানা দর্শনকে। বই এসবের ধারক। যাদের মহৎ অবদানে এগুলো আমরা পেয়েছি তাঁরা আমাদের মধ্যে আজ নেই।

আজকের দিনে আমরা কোথায় পাব হোমার, ভার্জিল, দান্তে, গ্যেটে, শেক্সপিয়র, দস্তয়ভস্কি আর রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাত? কোথায় পাব মাদাম কুরি, মার্কনি, টমাস আলভা এডিসন, জগদীশচন্দ্র বসুকে?

একবিংশ শতাব্দীতে প্লেটো, অ্যারিস্টটল আর কার্ল মার্কসকে প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু যদি থাকে একটা গ্রন্থাগার, তাহলে তাদের বইয়ের মধ্য দিয়ে পাওয়া যাবে তাঁদের সান্নিধ্য। অনুভব করা যাবে তাঁদের নিঃশব্দ উপস্থিতি।

কেবল বইয়ের মাধ্যমেই বিখ্যাত সব মনীষীর চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হয়ে জ্ঞান, আনন্দ ও পরিতৃপ্তি পাওয়া যেতে পারে। বই পড়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. মানুষকে উদার করে বই

 

মানুষের হৃদয়ের বিচিত্র অনুভূতি, আবেগ ও ভাবকে উপলব্ধি করা যায় বই পড়ার মাধ্যমে। ত্যাগের কাহিনি, বীরত্বের মহিমা, সত্যের জন্য আত্মদান, নানা দেশের ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বৃত্তান্ত, সামাজিক আচার আচরণ, বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার, দুঃসাহসিক অভিযান ও ভ্রমণবৃত্তান্ত মানুষকে কৌতূহলী, উদার, মানবিক এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ হতে শেখায়।

বই পড়ে মনের দিগন্ত হয় উন্মোচিত ও প্রসারিত। ভালো বই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনকে শুদ্ধ করে, মানুষ খুঁজে পায় যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠার ঠিকানা। মনের জানালা খুলে যায়, উঁকি দেয় মুক্তচিন্তা। বইয়ের মধ্যে এসে মেশে বিভিন্ন জাতির বিচিত্র জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্যের বহুমুখী স্রোতধারা। আর সে ধারায় মিশে অর্জিত হয় মানুষের সুখ ও শান্তি।

৬. বই শব্দভান্ডার বাড়াতে সাহায্য করে

 

আমরা যখন প্রতিদিন কোন না বই পড়ি তখন আমরা প্রতিনিয়ত অনেক নতুন নতুন শব্দগুলোর সাথে পরিচিত হতে থাকি যেগুলো আমাদের অজানা।

ফলে আমরা বই পড়ার মাধ্যমে অজানা অনেক শব্দ জানতে পারি এবং সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারি।

যখন আমাদের শব্দভান্ডার বেড়ে যায় অর্থাৎ আমরা প্রচুর ভালো ভালো শব্দগুলো জানতে পারি তাই আমরা যখন অন্য কোন একজন ভালো ব্যক্তির সাথে কথা বলে থাকি তখন সেই সকল শব্দগুলো প্রয়োগ করার মাধ্যমে আমাদের কথা বলার স্টাইলকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারি।

বই পড়ার এই বিশেষ উপকারিতাটি আমাদের ভাষাগত ভাবে অনেক উন্নতি করে থাকে।

৭. লক্ষ্য পূরণে আত্মবিশ্বাস বাড়ায় বই

 

আমাদের প্রত্যেকেরই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার লক্ষ্য থাকে এবং সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই আমরা এগিয়ে যেতে থাকি।

এতে আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা যেকোন কাজে সফল হতে আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

তাই আমরা যখন এমন বই পড়ি যেখানে সফল ব্যক্তিদের জীবনী উল্লেখ করা থাকে তখন আমরা তাদের জীবন কাহিনী গুলো পড়ে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিই।

কেননা সফল ব্যক্তিরা সফলতা অর্জনের জন্য যেসকল কাজ করেন আমরাও যদি তাদের পথ অনুসরণ করে কাজ করতে থাকি তাহলে আমরাও একদিন সফলতার চূড়ায় পৌছাতে পারবো।

৮. মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে

 

আমরা যখন কোন বই পড়তে বসি তখন খুবই মনযোগের সাথে বইটি পড়ে থাকি। বইয়ে কি লেখা রয়েছে যেগুলো পড়ি এবং বোঝার চেষ্টা করে থাকি।

ফলে আমরা যে বিষয়টি বইয়ে পড়ে থাকি সেটি আমাদের মস্তিষ্কে দীর্ঘদিন মনে থাকে।

এভাবে প্রতিনিয়ত বই পড়লে আমাদের মস্তিষ্ক নতুন নতুন বিষয়গুলোর সাথে পরিচিত হয় এবং সেগুলো মস্তিষ্কে থেকে যায়।

 

তাই প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস আমাদের মনে রাখার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।yes

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 479 বার দেখা হয়েছে
09 ফেব্রুয়ারি 2024 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Simum (980 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 306 বার দেখা হয়েছে
26 সেপ্টেম্বর 2023 "বাংলাদেশ ও বিশ্ব" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fariha akther (1,810 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,004 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 641 বার দেখা হয়েছে
05 জানুয়ারি 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)

10,826 টি প্রশ্ন

18,533 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

749,764 জন সদস্য

36 জন অনলাইনে রয়েছে
11 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...