শব্দ আসলে দেখা যায় না। শব্দ হলো একটি প্রকার শক্তি যা বাতাসের কম্পন দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই কম্পনগুলো আমাদের কানে পৌঁছানোর পর আমরা শব্দ শুনতে পাই। তাই, শব্দকে সরাসরি দেখা যায় না, তবে এর প্রভাবগুলি দেখা যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, আমরা দেখতে পারি যে একটি বাজ পড়লে বাতাস কেমন কাঁপছে। এই কাঁপুনিই হলো শব্দের প্রভাব। এছাড়াও, আমরা দেখতে পারি যে একটি বজ্রপাতের সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এই বিদ্যুৎ চমকানোও হলো শব্দের প্রভাব।
বৈজ্ঞানিকভাবে, শব্দকে একটি তরঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই তরঙ্গগুলোর উচ্চতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে আমরা বিভিন্ন ধরনের শব্দ শুনতে পাই। উচ্চতা বলতে বোঝায় তরঙ্গের প্রশস্ততা, আর ফ্রিকোয়েন্সি বলতে বোঝায় তরঙ্গের কম্পাঙ্ক। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গগুলোকে আমরা উচ্চস্বরে শব্দ হিসেবে শুনি, আর নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গগুলোকে আমরা নিম্নস্বরে শব্দ হিসেবে শুনি।
শব্দের তরঙ্গগুলো বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের অণুগুলো এই তরঙ্গগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং এভাবে শব্দটি একটি নির্দিষ্ট দিকে ছড়িয়ে পড়ে। শব্দের তরঙ্গগুলোর গতিবেগ বাতাসের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। বাতাসের তাপমাত্রা যত বেশি, শব্দের তরঙ্গগুলোর গতিবেগ তত বেশি হয়।
শব্দের তরঙ্গগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়। এই প্রতিফলন প্রভাবের কারণে আমরা একটি পাহাড়ের দিকে চিৎকার করলে আমাদের চিৎকারের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।
সুতরাং, শব্দকে সরাসরি দেখা যায় না, তবে এর প্রভাবগুলি দেখা যেতে পারে। শব্দ হলো একটি তরঙ্গ যা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শব্দের তরঙ্গগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। আপনার যদি কোনো ফিরতি প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যদি আমার জানা থাকে, অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ!