উত্তরঃ রাবার পাওয়া যায়, রাবার গাছের রস থেকে। এ রস দেখতে সাদা। একদম দুধের মতো। রাবার গাছের সাদা কষ রাবারের মূল উপাদান। রাবারের এ কষকে বলা হয় সাদা সোনা। রাবার গাছ জন্মে পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোতে।
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ভাটেরা, সাতগাঁও শাহজীবাজার ও রূপাইছড়া রাবার বাগান রয়েছে। রাবার গাছের কাণ্ড চেছে কাঠের অংশটি ছিলে দেয়া হয়। সেই চাছা অংশ থেকে রস টপ টপ করে পড়তে থাকে। দেখা যায় যে, চাছা অংশে যদি একটি কাঠি পুতে দেয়া হয়, তবে রস ফোঁটায় ফোঁটায় পরতে থাকে। রস এভাবে সংগ্রহ করাটিই উত্তম।
রাবার আবিষ্কার হওয়ার পর এবং তরল রাবারকে শক্ত করার পদ্ধতিও বের করে মানুষ। এদিকে শক্ত রাবারকে ইউরোপীয়রা পুনরায় তরলে পরিণত করার একটি উপায়ের কথা ভাবতে শুরু করে। ক’দিন আগেও ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট আলোকিত করার জন্য ব্যবহার করা হতো কয়লা গ্যাস। এর প্রধান উপজাত হলো ন্যাফথা।ন্যাফতা শক্ত রাবারকে গলে দেয় এবং রাবারকে তরল করে। চার্লস স্যাকিনটোল দু’টুকরো কাপড়ের মাঝখানে তরল রাবারের দ্রবণ সেটে সে সময় সুন্দর রেইনকোট বানান। যদিও এই রেইনকোট খুব ভারি এবং শক্ত ছিলো। তবে এটিই হলো পৃথিবীর প্রথম রেইনকোট বা বর্ষাতি।
তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর, wikipedia
ধন্যবাদ।