এর উত্তরটা কিছুটা ঘুরানো প্যাচানো।
এর উত্তর জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে ও বুঝতে হবে ঠিক কোন ধরণের বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার করবেন।
বৈদ্যুতিক চুলা মূলত তিন প্রকার
১. হট প্লেট বা হিটিং কয়েল
হট প্লেট চুলার উপরে মূলত ধাতব একটা সমান প্লেট বসানো থাকে, যা এর সাথে সংযুক্ত কয়েল উত্তপ্ত করে সেখান থেকে তাপ শোষণ করে নিজে উত্তপ্ত হয় এবং তার উপর বসানো পাতিলকে উত্তপ্ত করে যতখানি তাপ পৌছানো যায় পৌছায়। আবার অনেকসময় সরাসরি হিটিং কয়েলই থাকে।
বুঝতেই পারছেন এটা যে প্রক্রিয়ায় কাজ করে তাতে বিদ্যুৎ খরচের চাইতে উৎপন্ন তাপের অপচয়ই হয় বেশি। আর শুধু চ্যাপ্টা, সমান তলের পাত্রই এর জন্য প্রযোজ্য।
এধরণের চুলার দাম কম, অন্যধরণের চুলাগুলোর অর্ধেক দামেই এই চুলাগুলো মিলে। তবে টিকে কম, রান্নায় সময় অনেক বেশি লাগবে এবং বিদ্যুৎ খরুচে।
২. ইন্ডাকশন
এধরণের চুলায় বিশেষত কপার কয়েল ব্যবহার করা হয় যা কেবল নির্দিষ্ট ধরণের ধাতব পাত্রের সংস্পর্শে এসে তবেই কাজ করে। কারণে নির্দষ্ট ধাতুর সংস্পর্শে এসে কুন্ডলী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ নির্গত করে যা খাবারকে উত্তপ্ত করে তোলে।
এধরণের চুলা নিরাপদ ও অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিন্তু সবধরণের পাত্র ব্যবহারযোগ্য না।
৩. ইনফ্রারেড
সর্বাধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং সবধরণের ধাতব পাত্র ব্যবহারের উপযোগী চুলা। এর উপরের টেম্পার্ড গ্লাস এর নীচে থাকা হিটার অবলাল রশ্নি নির্গত করে সরাসরি তা পাত্র অভিমূখে বিচ্ছুরিত করে। ফলে বিদ্যুৎ - প্রয়োগকৃত শক্তির অনুপাত অনেক কাছাকাছি থাকে। মানে বিদ্যুৎ তো অপচয় হয়ই না, বরঞ্চ ঠিকমত ব্যবহার করতে জানলে রান্না খুব দ্রুত হয়। এধরণের চুলায় এমনকি কাবাবের প্লেট ব্যবহার করে পিৎজাও বানানো যায়।
বাজারে পাওয়া চুলাগুলোর মধ্যে এগুলোর দাম সবচে বেশি, কিন্তু এককালীন খরচ হিসেবে যথোপযুক্ত।