চাঁদ দিনে অনেক গরম এবং রাতে অনেক ঠান্ডা হয় কারণ চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল নেই। বায়ুমণ্ডল সূর্যের তাপকে ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা পৃথিবীকে জীবিত রাখে। চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল না থাকায়, সূর্যের তাপ খুব দ্রুত চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ে।
দিনে, সূর্যের আলো চাঁদের পৃষ্ঠকে সরাসরি আঘাত করে। এই আলো চাঁদের পৃষ্ঠকে গরম করে তোলে। তবে, চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল না থাকায়, এই তাপ খুব দ্রুত চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, দিনে চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় 127 ডিগ্রি সেলসিয়াস (260 ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
রাতে, চাঁদ সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকে। ফলে, চাঁদের পৃষ্ঠ সূর্যের আলো থেকে উত্তপ্ত হয় না। চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল না থাকায়, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে তাপ দ্রুত হারিয়ে যায়। ফলে, রাতে চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় -173 ডিগ্রি সেলসিয়াস (-280 ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
এখানে চাঁদের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- সূর্যের আলো: সূর্যের আলো চাঁদের পৃষ্ঠকে সরাসরি আঘাত করে। এই আলো চাঁদের পৃষ্ঠকে গরম করে তোলে।
- বায়ুমণ্ডল: বায়ুমণ্ডল সূর্যের তাপকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল না থাকায়, সূর্যের তাপ খুব দ্রুত চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ে।
- আলোর প্রতিফলন: চাঁদের পৃষ্ঠ সাদা পাথরের তৈরি। সাদা পাথর আলোকে প্রতিফলিত করে। ফলে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে বেশি আলো ছড়িয়ে পড়ে।
- চাঁদের আকৃতি: চাঁদ গোলাকার নয়। এটি একটি ডিম্বাকৃতির আকৃতি। ফলে, চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশ সূর্যের আলো থেকে বিভিন্ন পরিমাণে তাপ পায়।
চাঁদের তাপমাত্রা পরিবর্তন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিবর্তন আমাদের মহাকাশ অভিযানকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও, চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিবর্তন আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দেয়।