আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,011 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (3,220 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (3,220 পয়েন্ট)

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে :
_____________________________

পৃথিবীর সর্বত্র টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগিতা করতে হয়। এই কম্পিটিশনে যার স্কিল যত বেশি সে তত এগিয়ে থাকে। তাই বর্তমানে সবাই নতুন নতুন স্কিল অর্জনে ব্যাস্ত! কিন্তু এসবের বাইরেও আমাদের কিছু স্কিল খুবই প্রয়োজনীয়। ইমোশন কন্ট্রোল স্কিল তাদের মধ্যে অন্যতম।

মানুষ হিসেবে আমাদের আবেগ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সময়ে অসময়ে ইমোশন হাই এবং ডাউন হবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এই ইমোশন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন তা আর স্বাভাবিক থাকে না। তা অস্বাভাবিকভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। রিলেশনশিপ থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার, সর্বত্রই।

সুতরাং ইমোশন বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ জানতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, আবেগ নিয়ন্ত্রণের যত্ত উপায়!

১. হঠাৎ ভেঙে পড়বেন না।

প্রিয় মানুষটিকে কল বা টেক্সট দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কোনো রেসপন্স করছে না! আপনি আপসেট হয়ে গেলেন। ভুলভাল কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন!
ভালো হবে কি?
মোটেও না। তারচেয়ে বরং একটু শান্ত হয়ে বসুন। খাতা-কলম নিন। নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো লিখুন। নিজেই উত্তর দিন।

▪ এখন আমার আসলে কেমন ফিল হচ্ছে?
▪ কেন হচ্ছে? ( প্রিয় মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই ইগনোর করছে)
▪ এর কিঅন্য কোনো ব্যাখা আছে? ( আসলেই ইগনোর করছে? অন্য কোনো সমস্যাও তো থাকতে পারে।)
▪ আমি এতটা ফিল করছি কেন?
▪ আপসেট না হয়ে অন্যান্য কি উপায়ে ডিল করা যেতে পারে।

আরও প্রয়োজনীয় প্রশ্ন নিজেই করবেন, নিজেই উত্তর দিবেন।
আবেগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

২. যে কোনো আবেগের বাস্তবিক প্রভাব বিবেচনা করুন।

তীব্র আবেগ মানেই খারাপ না। আবেগ তীব্র না হলে জীবনে আনন্দ কিংবা উত্তেজনা থাকত না।
সুতরাং সব আবেগ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নাই।

আপনাকে আগে ভাবতে হবে " এই আবেগের পরিণাম কী" তা নিয়ে। অতি আবেগের ঠেলায় এরকম কিছু করা যাবে না যাতে পরে পস্তাতে হয়। অতিরিক্ত মেজাজ গরম, কারও প্রতি তীব্র ভালোবাসা, অতি দুঃখ ইত্যাদি যখন দেখা দিবে তখন মূহুর্তের জন্য নিশ্চুপ হয়ে যান। বুঝার চেষ্টা করুন এর ফল ভবিষ্যতে কি হবে।
আবেগ বেশি থাকলে বিবেক কাজ কম করে। তাই ভালো হয় বিশ্বস্ত কারও কাছে আপনার আবেগ প্রকাশ করা। সে হয়তো আপনাকে কোনো বেটার উপায় খুঁজে দিতে পারবে।

৩. লক্ষ্য থাকবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ, চেপে রাখা নয়।

আমাদের এত এত আবেগের পেছনে দ্বায়ী হরমোন। যেহেতু আপনি চাইলে দেহ থেকে হরমোন সরিয়ে নিতে পারবেন না, সুতরাং আবেগ থাকবেই।

আপনি জোর করে আবেগ চেপে রাখলে আপনার যা ক্ষতি হতে পারে :

▪ ডিপ্রেশনে পড়ে যাবেন।
▪ anxiety তে ভুগবেন।
▪ ঠিকঠাক ঘুম হবে না। পর্যাপ্ত না ঘুমালে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
▪ পেশিতে ব্যাথা হতে পারে!

৪. Take a deep breath.

যখনই অতিরিক্ত ইমোশনাল হয়ে পড়বেন তখনই এটা করতে হবে।
কোথাও আরাম করে বসে পড়ুন। তারপর আস্তে আস্তে বড় করে শ্বাস নিন। শ্বাস-প্রশ্বাসের রিদম লক্ষ্য করুন।
মনকে বুঝান আপনি ঠিক আছেন।

এতে আবেগ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

৫. ডায়েরি লিখুন।

যদিও আমরা অধিকাংশ আমাদের আবেগের পেছনর কারণ বুঝতে পারি। কিন্তু যখন অনেক প্রেসার একত্রে আসে তখন অনেক মেন্টালি স্ট্রং ব্যাক্তিরাও হিমশিম খায় কারণ খুঁজতে।

আপনার যে কোনো সমস্যা বা আবেগ ডায়েরিতে নিজের মতো করে লিখুন। তবে যতটা সম্ভব বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করতে হবে।
তারপর ডায়েরির লেখা নিজেই পড়ুন, খুঁজে বের করুন সমস্যা কোথায়। নিজেকে প্রশ্ন করুন।

৬. নিজেকে কিছুটা সময় দিন।

ভালো থাকার সিগমা রুল হচ্ছে নিজেকে ভালোবাসা। আর নিজেকে ভালোবাসার উপায়ই হচ্ছে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া, স্পেস দেওয়া।

নিজেকে যেভাবে সময় বা স্পেস দিবেন।

▪ কিছুক্ষণ হাটাহাটি করুন। ব্যায়াম হবে।
▪ ফানি ভিডিও দেখুন।
▪ নিজের শখের কাজগুলো করুন।
▪ পোষা প্রাণী থাকলে তাদের সাথেও সময় কাটাতে পারেন।

সোজা কথা, নিজেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। নিজের মতো থাকুন।

৭. মেডিটেশন করতে পারেন।

মেডিটেশন আপনার এটেশন এবং ফোকাস স্কিল বৃদ্ধি করে। এতে করে আপনার সমস্যার আসল কারণ দ্রুত করতে পারবেন, মনোযোগ দিয়ে বিষয়টা ভাবতে পারবেন। ফলে ইমোশন হবে র‍্যাশনাল এবং নিয়ন্ত্রিত।

৮. মানসিক চাপ কমান।

প্যারা যখন আসে, দলবেঁধে আসে। এবং এই প্যারার কারণে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারি না। এলেমেলো চিন্তা করতে পারি। হতাশা বেড়ে গিয়ে, আবেগ হয়ে পড়ে অনিয়ন্ত্রিত।

সুতরাং মানসিক চাপকে অবহেলা করা যাবে না। যখনই কোনো প্রবলেম মানসিক চাপ দিবে, সেটাকে দ্রুত সমাধান করতে হবে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে যা করতে পারেন :

▪ পর্যাপ্ত ঘুমানো
▪ ফ্রেন্ডস বা কাছের মানুষদের সাথে আড্ডা দেওয়া।
▪ ব্যায়াম করা।
▪ প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো।
▪ শখের কাজ করা।

৯. থেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনি একেবারেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এসব সাধারণ টিপসে কাজ নাও হতে পারে। তখন একজন প্রফেশনালের সাহায্য নিবেন।
অবহেলা করা চলবে না। অনেক কিছুই হারাবেন।

রেফারেন্স।

https://www.healthline.com/health/how-to-control-your-emotions

লেখা: ইমামুল হাসান

0 টি ভোট
করেছেন (1,370 পয়েন্ট)
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে বেশ কিছু কৌশল রয়েছে যা আপনার আবেগ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে:

1.মননশীলতার অভ্যাস করুন: মননশীল হওয়া মানে বিচার ছাড়াই বর্তমান মুহুর্তে আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং পারিপার্শ্বিকতার দিকে মনোযোগ দেওয়া। এটি আপনাকে আপনার আবেগ সম্পর্কে আরও সচেতন হতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং যুক্তিসঙ্গত উপায়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করতে পারে।

2.গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল ব্যবহার করুন: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস শরীর ও মনকে শান্ত করতে, স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে, গভীর শ্বাস নেওয়া আপনার মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।

3.শারীরিক কার্যকলাপে নিয়োজিত: ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি উত্তেজনা মুক্ত করতে এবং আপনার সামগ্রিক সুস্থতার অনুভূতি উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে।

4.শিথিলকরণ কৌশলগুলি অনুশীলন করুন: প্রগতিশীল পেশী শিথিলকরণ বা নির্দেশিত ধ্যানের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলি শরীর এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে, আপনাকে আপনার আবেগগুলিকে আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে দেয়।

5.সমর্থন চাওয়া: আপনার অনুভূতিগুলি একজন বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাথে ভাগ করে নেওয়া বা একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া, আপনাকে আপনার আবেগগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এমন বেশ কিছু কৌশল রয়েছে যা আপনাকে আপনার আবেগগুলি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে মননশীলতা অনুশীলন করা, গভীর শ্বাস নেওয়ার কৌশল ব্যবহার করা, শারীরিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়া, শিথিলকরণের কৌশলগুলি অনুশীলন করা এবং সহায়তা চাওয়া।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 609 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 279 বার দেখা হয়েছে
11 জুলাই 2022 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন SH Sakib (160 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 394 বার দেখা হয়েছে
+16 টি ভোট
2 টি উত্তর 786 বার দেখা হয়েছে
05 মার্চ 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,130 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,161 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,700 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,461 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

269,103 জন সদস্য

84 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 83 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  2. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  3. w88vnzdev

    100 পয়েন্ট

  4. j88ldsj88

    100 পয়েন্ট

  5. BlaineL4354

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...