পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে ১ সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- প্রবল বাতাস: পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বাতাস প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে বাতাস প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে প্রবল বাতাসের ঝড় দেখা দিতে পারে।
- জোয়ারের পরিবর্তন: পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে জোয়ার-ভাটা হয়। পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে জোয়ার-ভাটার পরিবর্তন ঘটবে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে।
- ভূমিকম্প: পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে ভূত্বকের নিচে শক্তি জমা হয়। পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে এই শক্তি মুক্ত হয়ে ভূমিকম্প হতে পারে।
এছাড়াও, পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীর অভিকর্ষের পরিবর্তন ঘটতে পারে। ফলে পৃথিবীর আকার ও আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে।
তবে, ১ সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হলে এই সব প্রভাব সাময়িক হবে। পৃথিবী আবার ঘুরতে শুরু করলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ দেওয়া হল:
- একটি বিমান যাত্রীবাহী বিমান যদি পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় মাটি থেকে উঠে থাকে, তাহলে বিমানটি উপরে উঠতে থাকবে। কারণ, বিমানের গতিশক্তির কারণে বিমানটি পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানবে।
- একটি ট্রেন যদি পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় চলমান থাকে, তাহলে ট্রেনটি ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়তে পারে। কারণ, ট্রেনের গতিশক্তির কারণে ট্রেনটি ট্র্যাকের সাথে লেগে থাকতে চাইবে।
- একটি মানুষ যদি পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে মানুষটি কিছুটা পিছনের দিকে ঝুঁকে পড়বে। কারণ, পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে মানুষটিকে কেন্দ্রের দিকে টান দেওয়া হয়।
সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীর ঘোরা বন্ধ হয়ে গেলে ১ সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তবে, এই বিশৃঙ্খলা সাময়িক হবে।