জিরো ক্যালকে চিনির বিকল্প হিসেবে দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা এটি এড়িয়ে যেতেই মত দেন। ভারতে এই নিয়ে গবেষণা হলে তারা জানান, "সাধারণ চিনির থেকে কৃত্রিম চিনিতে অনেকগুণ বেশি মিষ্টি অ্যাসপার্টেম থাকে। যেকোনো প্যাকেটজাত খাবার, ডায়েট পানীয়, জাঙ্ক ফুডে এই অ্যাসপার্টেম উপস্থিত। নিয়মিত অ্যাসপার্টেম খেলে তা থেকে মাথা যন্ত্রণা, অস্থিরতা, হৃদযন্ত্রের ধড়ফড়ানি, ওজন বৃদ্ধি, হতাশা, স্নায়ু ও ব্রেনের সমস্যা হতে পারে। শুধু অ্যাসপার্টেমই নয় কৃত্রিম চিনিতে থাকে স্যাকারিনও। যা গর্ভবতী মহিলাদের একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কৃত্রিম চিনির এই উপাদানটি ইনসুলিন নিঃসরণ ঘটায় এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষুধা পাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এছাড়া কৃত্রিম চিনিতে থাকা সুক্রালোস থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। আবার সাধারণত অ্যালকোহল, লজেন্সে যে ধরনের সুগার থাকে তা হল এভান ১০ গ্রুপের মিষ্টি। তাই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডায়াবেটিস না থাকলেও নিয়মিত সুগার ফ্রি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওজনও বাড়ে।
আসলে কৃত্রিম চিনি খেলে আমাদের ব্রেনে মিষ্টি খাওয়ার সাইকোলজিক্যাল সন্তুষ্টি হয় না। ফলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে ডায়াবেটিকেরা বেশি ক্যালোরি খেয়ে ফেলে, তাই আরও ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা স্বাভাবিক চিনির ক্ষেত্রে এতটা হয় না। একইসঙ্গে স্বাভাবিক চিনির থেকে কৃত্রিম চিনির হজম প্রক্রিয়াও আলাদা। ফলে ধীরে ধীরে রোগীর মেটাবলিক রেট কমে যায়। পরবর্তীকালে হজমের সমস্যা, হার্টের সমস্যা, নার্ভের সমস্যা শুরু হতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
তাই চিনির বিকল্প হিসেবে জিরো ক্যাল না খেয়ে খান গুড়। যা শরীরের জন্য উপাদেয়।"
তারা জিরো ক্যাল উল্লেখ করে এটি বললেও এটি বাংলাদেশের স্কোয়ারের জিরো ক্যাল নাকি তা নিশ্চিত নই।
বি.দ্রঃ রিসার্চার হচ্ছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের ফুড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রশান্ত বিশ্বাস।
Nadia Islam