প্রথমত, বিভিন্ন গবেষণা মতে, বিজ্ঞানীদের লম্বা চুল রাখার পেছনে নির্দিষ্ট কোন কারণ খুজে পাওয়া যায়নি। তবে যে কারণটা স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া হয়, তাহল তারা তাদের সৌন্দর্যের চেয়ে গবেষণায় বেশি মনোনিবেশ করতেন। যেহেতু বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তির বিকাশের প্রধান সহায়ক, সেহেতু তাদের প্রযুক্তিতে নিজেদের আপডেটেড রাখার জন্য প্রতিদিন গবেষণায় সময় দিতে হয়। এই কারণেই সময় তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই তারা চুল কাটা এবং ড্রেসিংয়ের মতো অলাভজনক কাজে সময় নষ্ট করতে চাইতো না।
আরও একটি বিষয় বিশ্বাস করা হয় যে বিজ্ঞানীর অভিজ্ঞতা তাদের চুল দেখে অনুমান করা যায়। মানে বিজ্ঞানীর চুল যত বড় তার অভিজ্ঞতা তত বেশি। এই যুক্তিকে সমর্থন করার কোন বিশেষ কারণ নেই কিন্তু মানুষ এখনও এটি বিশ্বাস করে। প্রাচীন কাহিনীতে বলা হয় মানুষের শক্তি চুলের মধ্যেই নিহিত। লম্বা চুল আছে এমন বুদ্ধিমান মানুষের উদাহরণ আপনি কয়েক ডজন পাবেন। আগেরকার প্রায় সব জ্ঞানী ব্যক্তিদের মধ্যে লম্বা চুল রাখার বেশি প্রবণতা দেখা যেত। তবে এসব বিশ্বাসের উপর যুক্তি, এখন এখানে কোন সায়েন্টিফিক কারণ আছে কিনা তা নিয়ে একটু কথা বলি।
শুনতে অবাক লাগলে এখানেও কিন্তু বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে।বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার কাজ করতে গিয়ে মস্তিষ্কে অনেক প্রেসার দেন, যার ফলে মাথায় রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। আর উচ্চ রক্ত প্রবাহ চুল বৃদ্ধির হারও বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ মস্তিষ্কে অনেক প্রেসার পড়ে বলে তাদের মাথায় রক্ত প্রবাহের হার বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের চুলের বৃদ্ধির হারও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়।
তাহলে অনেক কারণ পেলাম। তবে কারণগুলো অনেকটা অনুমানের উপর, ধরে নেওয়া টাইপ। বিজ্ঞানীরা ঠিক কী কারণে লম্বা চুল রাখতেন, তা নির্দিষ্ট নয়।
লেখকঃ Tanjina Sultana Shahin | Science Bee