রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যদি ৩ মিলিমোল/লিটারের কম হলে তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া খুব পরিচিত সমস্যা। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের এই সমস্যা হয়। বিশেষ করে যারা ইনসুলিন নেন, তাঁদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া তে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায়।
সাধারণত ইনসুলিন বা মুখে খাবার ডায়াবেটিসের ওষুধের ডোজ বেশি হলে এই সমস্যা হয়। তাছাড়া খাবারে শর্করার পরিমাণ কম হলে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে বা কোনো খাবার মিস করলেও হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। তবে দেরি হয়ে গেলে জটিল সমস্যাসহ আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জানা থাকা একান্ত জরুরি। এছাড়া তাদের কাছের মানুষেরও এই বিষয়ে অবশ্যই জানতে হবে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। মাথা ঘোরা বা অস্বস্তি
২। শরীর ঘেমে যাওয়া
৩। মেজাজ খিটখিটে হওয়া
৪। ক্ষুধা লাগা
৫। অস্থিরতা
৬। বুক ধড়ফড় করা
৭। মাথাব্যথা
৮। হাত কাঁপা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কারো এমন হলে দ্রুত গ্লুকোজ মাপতে হবে। বাসায় মেশিন না থাকলে চিনির শরবত বানিয়ে খেতে দিতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেকের ঘুমের মধ্যেও হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো ঘামে বিছানার চাদর ভিজে যাওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা এবং দুর্বল লাগা। শুরুতে যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার চিকিৎসা না করা হয় তবে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হতে পারেন। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তি মারাও যেতে পারেন।