আসলে টিকার নাম হবে টিটেনাস(Titenus), টিটিনিস নয়।
ক্লোস্ট্রিডিয়াম টেটানি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে টিটেনাস হয়, যা সাধারণত মাটি, লালা, ধুলো এবং সারে পাওয়া যায়।
এই ব্যাকটেরিয়াটি সাধারণত দূষিত বস্তুুর দ্বারা সৃষ্ট কাটা বা খোঁচার মত চামড়ার ক্ষতর মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে. এরা মানব দেহে এক প্রকার প্রতিবিষ(Toxin) তৈরি করে যা স্বাভাবিক পেশী সংকোচনে হস্তক্ষেপ করে। এই রোগ উপস্থাপিত লক্ষণ এবং উপসর্গের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। এই রোগ এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না।
টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) থেকে বাঁচতে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের টিটি টিকা নিতে হয়। শিশুকে ধনুষ্টংকার থেকে বাঁচাতে মূলত এই টিকা দেয়া হয়। যদি আগে কোনো টিকা নেয়া না হয়, তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সবগুলোই দিতে হবে। তবে টিটেনাসের ৫টি টিকার ডোজ সম্পন্ন করা থাকলে আর গর্ভাবস্থায় এই টিকা নেয়ার প্রয়োজন নেই।
টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের টিকা দিয়ে ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধ করা যেতে পারে। সুচিকিৎসার পরেও, ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত প্রায় 10% লোক মারা যায়। টিকা না দেওয়া ব্যক্তি এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি।
• আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়েছেন।