ভ্যাক্সিন শব্দটি আসলে এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘vacca’ থেকে। ‘vacca’ অর্থ cow বা গরু। ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হওয়ারও আগে কৃষকদের মাঝে এ বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে- কারো যদি একবার গো-বসন্ত(cowpox) হয়, তবে তার শরীরে আর মারাত্মক গুটিবসন্ত (small pox) দানা বাঁধবে না। এই ধারণাকে কাজে লাগিয়েই এডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ সালে সর্বপ্রথম গুটিবসন্তের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেন। গো-বসন্তে আক্রান্ত এক গোয়ালিনীর শরীরের পুঁজ নিয়ে তিনি তার বাগানের মালীর আট বছরের ছেলের দেহে প্রবেশ করান। কিছুদিনের মাঝেই ছেলেটির দেহে গো-বসন্তের গুটি দেখা দেয়। তবে দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর জেনার তার শরীরে প্রবেশ করান গুটিবসন্তের জীবাণু। কিন্তু এবার লক্ষ করেন ছেলেটির শরীরে আর গুটিবসন্তের সংক্রমণ ঘটছে না। এভাবেই আবিষ্কৃত হয় পৃথিবীর প্রথম ভ্যাক্সিন।
এর অনেক বছর পর ফরাসী বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর আবিষ্কার করেন কলেরা এবং জলাতঙ্ক রোগের টিকা। এভাবে একের পর এক পোলিও, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক রোগের টিকা আবিষ্কৃত হতে থাকে। ফলে প্রতিবছর প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা পায় এবং বিকলাঙ্গ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় আরো কয়েক মিলিয়ন মানুষ।
শৈশব ও কৈশোরের সময়ই মূলত দেহে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়। শিশু যদি ভ্যাক্সিন না নিয়ে থাকে তবে রোগ ব্যাধি অন্য শিশুতে ছড়াতে পারে।